স্টাফ রিপোর্টার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে কালা মিয়া-(৪৫) নামে এক ব্যক্তির পা কেটে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি আবুল বাশারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে নারায়ণগঞ্জ জেলার সানারপাড় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় এ ঘটনায় জড়িত মনির হোসেন মেম্বার ও দেলওয়ার হোসেনকেও (ধন মিয়া) গ্রেপ্তার করা হয়।
বিভিন্ন গনমাধ্যমে পাঠানো জেলা পুলিশের প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়। এছাড়া বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসি সালাহউদ্দিন চৌধুরী জানান, নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের সহযোগিতায় আবুল বাশারসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদেরকে বাঞ্ছারামপুরে নিয়ে আসা হয়েছে। আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে।
এ ঘটনায় কালা মিয়ার স্ত্রী সালমা আক্তার বাদী হয়ে বাঞ্ছারামপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। আবুল বাশারকে প্রধান আসামি করে ১৫ জনের নাম উল্লে¬খ করে মামলাটি দায়ের করা হয়।
উল্লেখ্য বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার রূপসদী গ্রামের কালা মিয়া কালা মিয়া (৪৫) এর সাথে একই গ্রামের বাসিন্দা ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি আবুল বাশারের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে।
এই বিরোধের জের ধরে গত এই বিরোধের জেরে গত ১৯ এপ্রিল বিকেলে আবুল বাশার ও তার সহযোগীরা কালা মিয়া এবং তার ছেলে বিল্পব মিয়াকে (১৯) বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে টেঁটাবিদ্ধ করে। পরে ধারালো দা দিয়ে কালা মিয়ার ডান পায়ের হাঁটু থেকে নিচ পর্যন্ত কেটে নিয়ে যায় তারা। এ সময় কালা মিয়ার ছেলে বিপ্লবের দুই পায়ের রগও কেটে দেয় আবুল বাশার ও তার সহযোগীরা।
খবর পেয়ে পুলিশ ও এলাকাবাসী তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করেন। তবে পুলিশ এখন পর্যন্ত কালা মিয়ার কেটে নেয়া পা উদ্ধার করতে পারেনি।