স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে মেঘনা নদী ও তীরে অবৈধভাবে বালু ভরাটের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে আশুগঞ্জ উপজেলার প্রেসক্লাবের নাছির আহমেদ সম্মেলন কক্ষে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ এর আহবায়ক হাজী মো. ছফিউল্লাহ।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানী লিমিটেডের উদ্যোগে নদীর তীর ভু’মি অবৈধভাবে দখল করে ভরাট করেছে প্রভাবশালীরা। কৌশলে তারা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের রেষ্ট হাউসের পেছনে নিজেদের সীমানা প্রাচীরের বাইরে প্রায় তিন হাজার ফুট দৈর্ঘ্য ও তিনশত ফুট প্রস্ত এলাকা বালু ফেলে ভরাট করেছে। এছাড়াও আশুগঞ্জ নৌবন্দরের বিভিন্ন খালও দখলে নিচ্ছে বিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ। ফলে মোকামে আসা ধানের নৌকাগুলো তীরে ভীরতে পারবে না। নদী দখলের কারনে নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হয়ে নৌ-বন্দর এলাকায় নদীভাঙ্গনের আশংকা তৈরি হয়েছে। এতে জেলার বিদ্যুৎ সঞ্চালন টাওয়ার ও আশুগঞ্জ বন্দর এলাকায় ভাঙ্গনের হুমকীতে পড়বে।
এ সময় তিনি আরো বলেন, মেঘনা নদীর গতিপথ বিনষ্ট ও নদীভাঙ্গন ঠেকাতে ভরাট বন্ধসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জাতীয় নদীরক্ষা কমিশন, বিআইডব্লিউ ও বন্দর কর্তৃপক্ষের নিকট অভিযোগ করা হয়েছে। এতেও তারা কোন কর্ণপাত করছে না। অবিলম্বে নদীদখল বন্ধ না করলে বন্দর এলাকা রক্ষায় এলাকাবাসী নিয়ে আন্দোলনে নামবেন বলেও জানান তিনি।
এসময় আশুগঞ্জ উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউল করিম খান সাজু, উপজেলা আওয়ামীলীগ এর আহবায়ক কমিটির সদস্য হাজী মো নাছির মিয়া, হাজী সাইদুল রহমান, মো. হেবজুল বারী, মোশারফ মুন্সি প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।