স্টাফ রিপোর্টার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলা সদরের অহনা রেস্টুরেন্টে একই সময়ে বিএনপি ও ছাত্রলীগ পৃথক আয়োজনের কর্মসূচী গ্রহণ করলেও শেষ পর্যন্ত ভেন্যু পরিবর্তন করে বিএনপি। ছাত্রলীগকে নির্ধারিতস্থানে কর্মসূচী পালন করতে দিয়ে অন্যত্র চলে যায় বিএনপি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শনিবার সকালে আশুগঞ্জ ফেরিঘাট এলাকার অহনা রেস্টুরেন্টে সাংগঠনিক সভার ডাক দেয় বিএনপি। একইস্থানে একই সময়ে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন পালন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে উপজেলা ছাত্রলীগ। এ নিয়ে দুই দলের নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা হয়। শেষ পর্যন্ত ছাত্রলীগ নির্ধারিতস্থানে জন্মদিন পালন করলেও বিএনপি সভা করে উপজেলার সোহাগপুর এলাকায়।
উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মারুফ আহমেদ রনির সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগ নেতা মোবারক আলী চৌধুরী, যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আতাউর রহমান কবির, স্বেচ্ছাসেবকলীগ আহবায়ক শাহীন সিকদার প্রমুখ। অন্যদিকে উপজেলা বিএনপি সভাপতি আবু আসিফ আহমেদের সভাপতিত্বে সাংগঠনিক সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, আব্দুল আউয়াল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপি’র সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, সাধারন সম্পাদক জহিরুল হক খোকন প্রমুখ।
উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মারুফ আহমেদ বলেন, ‘আমরা আগে থেকেই কর্মসূচি ঘোষণা করে রেখেছিলাম। শুক্রবার উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আমাকে ফোন করলে বিষয়টি জানিয়ে দেই। গতকাল (শনিবার) সেখানে বিএনপি’র কেউ আসেনি।
উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আবু আসিফ আহমেদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন পালনের জন্য আমরা নির্ধারিত স্থানটি ছাত্রলীগকে ছেড়ে দিয়েছি। পরে উপজেলার সোহাগপুর এলাকার আমরা ওই সভাটি করি। এতে কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।’
জেলা বিএনপি’র সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি বলেন, ‘একইস্থানে ছাত্রলীগও অনুষ্ঠান করতে চায়। কিন্তু আমরা কোনো ধরণের ঝামেলায় যেতে চাই নি। পরে অন্যত্র আমরা জনাকীর্ণ সফল সাংগঠনিক সভা করতে সক্ষম হয়েছি।’