নিউজ ডেস্ক,
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বুধবার ভোট চলাকালে সিল দিয়ে ব্যালটের ছবি তোলা, জালভোট দেওয়াসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে ৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড প্রদান করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এর মধ্যে আশুগঞ্জে ৪ জন ও বাঞ্ছারামপুরে ২জনকে কারাদন্ড দেয়া হয়।
ভোট চলাকালে আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর পশ্চিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসার নিষেধ করা সত্তেও মোবাইল ফোন সাথে রাখার দায়ে পোলিং এজেন্ট কাজী মাহবুবুর রহমান (৩৮) কে হাতেনাতে আটক করা হয়। এ ছাড়া উপজেলার আন্দিদিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে মোবাইল মোবাইল ফোন নিয়ে এসে গোপন কক্ষে ব্যালটের ছবি তোলার দায়ে তামিম সরকার-(২৪) কে হাতে নাতে আটক করা হয়। পরে নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্র্যাট মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে উভয় যুবককে দন্ডবিধির-১৮৬০ এর ১৮৮ ধারায় তিন দিন করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।
এদিকে একই উপজেলার তালশহর ইউনিয়নের মৈশাইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জাল ভোট প্রদানের চেষ্টাকালে মোঃ জহুরুল ইসলাম নামে একজন ব্যক্তিকে জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইকরামুল হক নাহিদ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দন্ডবিধি “১৮৬০” এর ১৭১-চ ধারায় ০৪ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও চার হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন। অনাদায়ে আরো এক দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।
এছাড়া একই উপজেলার বড়তল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ করে নিজের সিল দেয়া ব্যালটের ছবি তোলায় আমির হোসেন-(৩৮) নামে এক যুবককে তিনদিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়।
অপরদিকে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার রূপসদী ইউনিয়নের রূপসদী উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জাল ভোট প্রদানের চেষ্টাকালে মোঃ আলামিন মিয়া (৩৬) ও মোঃ নজরুল ইসলাম (৩৪) নামে দুই যুবককে হাতেনাতে আটক করা হয়। পরে নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্র্যাট তানভীর ফরহাদ শামীম ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে এই যুবককে দন্ডবিধি ১৮৬০ এর ৭১(চ) ধারায় সাত দিনকরে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।
এ ব্যাপারে বাঞ্ছারামপুর এবং আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন সুলতানা জানান, নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কোথাও গোলযোগের কোন ধরণের চেষ্টা করা হলে, তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদেরকে নির্দেশনা দেওয়া আছে।