আখাউড়া প্রতিনিধি:
শুক্রবারের ভারী বর্ষণ ও ভারতীয় পাহাড়ি ঢলের পানির তোড়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় হাওড়া নদীর বাঁধ ভেঙ্গে গেছে। এতে দুটি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে।
শনিবার ভোরে আখাউড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী মনিয়ন্দ ইউনিয়নের কর্নেল বাজার সংলগ্ন আইড়ল এলাকায় হাওড়া নদীর বাঁধ ভেঙ্গে উপজেলা বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়।
এ বিষয়ে মনিয়ন্দ ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম চৌধুরী দীপক জানান, পানির প্রবল স্রোতে বাঁধ সংলগ্ন পীচ ঢালাই সড়কও ভেসে গেছে। পার্শ্ববর্তী মোগড়া ইউনিয়নের নিলাখাদ গ্রামসহ মনিয়ন্দ ইউনিয়নের আইড়ল, ইটনা, খারকুট, বড় লৌহঘর, ছোট লৌহঘর ও বড় গাঙ্গাইল গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এসব গ্রামগুলোতে থাকা অনেক পুকুরের মাছ পানির স্রোতে ভেসে যাওয়ায় মৎস্য চাষীরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
হঠাৎ করে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করায় সীমান্তবর্তী এসব গ্রামের মানুষেরা বিপাকে পড়েছেন। গ্রামগুলোর নিচু বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়ায় জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে অনেক মানুষ। দ্রুত এই ভাঙ্গা বাঁধ মেরামত করতে না পারলে গোটা এলাকা প্লাবিত হয়ে যাবার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
অন্য দিকে আখাউড়া স্থলবন্দর সংলগ্ন দক্ষিণ ইউনিয়নের কালিকাপুর ও আবদুল্লাহপুর গ্রামের ৯০টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় স্থানীয় আব্দুল্লাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কয়েকটি পরিবারকে আশ্রয় দেয়া হয়েছে।
এদিকে বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার খবর পেয়ে শনিবার সকালে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অংগ্যজাই মারমা এবং স্থানীয় মনিয়ন্দ ইউপি চেয়ারম্যান দীপক চৌধুরী ভাঙ্গন এলাকাসহ পানিতে তলিয়ে যাওয়া গ্রামগুলো পরিদর্শন করেছেন।
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অংগ্যজাই মারমা বলেন, আকস্মিক এ বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় উপজেলা প্রশাসন ইতোমধ্যে প্রস্তুতি নিয়েছে। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তাৎক্ষণিক কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় তারা এটি দেখছেন।
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে এসে বলেন, আমাদের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিয়েছি। আমাদের কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্রে এখন পর্যন্ত ২৮টি পরিবার অবস্থান করছে। তাদের জন্য অতিদ্রুত শুকনা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য স্হানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।