এনবি প্রতিনিধি
পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন থেকেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার “আখাউড়া মিনি কক্সবাজার” এ একমাত্র নজর কাড়া স্থান পড়ন্ত বিকেলের তিতাস পাড়ের নজর কাড়া দৃশ্য ও শীতল বাতাসের পরশ অনুভব করতে দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত তিতাস পাড়ের আখাউড়া মিনি কক্সবাজার। পরিবার-পরিজন বন্ধু বান্ধব নিয়ে “আখাউড়া মিনি কক্সবাজার” ঘুরে-ফিরে আনন্দ উপভোগ করেছেন নানা বয়সের মানুষ।
সরেজমিনে ঈদের দিন (৫জুন) বিকেল থেকে ৮ জুন রবিবার পর্যন্ত সেখানে গেলে ” আখাউড়া মিনি কক্সবাজার” কোড্ডা বাইপাসের এ স্থানে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়। আখাউড়ার আশ-পাশ সহ পার্শ্ববর্তী উপজেলা থেকে নানা বয়সী শতশত পর্যটক ছুটে এসেছেন প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য উপভোগের জন্য।
তিতাস ব্রীজের নিচে থেকে অনেকেই ইঞ্জিন নৌকা আবার কেউ কেউ স্পীড বোড নিয়ে তিতাসের বুকে ঘুরতে যাচ্ছেন। আবার অনেকের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়া যায়, নৌকা ও স্পীড বোডের ভাড়া অতিরিক্ত থাকায় ঘুরতে যেতে পারছেন না সাধারণ পর্যটকরা।
এদিকে, পর্যটকদের কেন্দ্র করে জমজমাট এখানকার শরবত, বুট,বাদাম, চা-স্টল ও ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা।
কসবা থেকে আসা প্রবাসী রাকিবুল ইসলাম জানান, ‘ঈদের ছুটিতে পরিবার-পরিজনসহ পরিবারে সদস্যদের নিয়ে “আখাউড়া মিনি কক্সবাজার” বেড়াতে এসেছি, এখানকার পরিবেশ যে কারোরই মন ভুলাবে, প্রবাস থেকে প্রায় এ জায়গার অনেক সুনাম শোনতাম, ফেজবুকের মাধ্যমে এ জায়গার সব কিছুই অনুভব করতাম,তায় এবার পরিবার-পরিজন নিয়েই বেড়াতে চলে আসলাম।
আখাউড়া নয়াদিল থেকে ঘুরতে আসা পর্যটক জাহিদুল ইসলাম জানান, ‘এখানকার পরিবেশ-প্রকৃতি এবং রূপলাবণ্যতা পর্যটকদের প্রতিনিয়ত মুগ্ধ করে। এই মুগ্ধতাই তাদেরকে এখানে বার বার নিয়ে আসে, সরকারের কাছে আমরা আকুল আবেদন করবো যেন এই তিতাস পাড়ের আখাউড়া মিনি কক্সবাজার নামক জায়গাটিকে যেন পর্যটকদের সুবিধার্থে পর্যবেক্ষন করা হয়, এবং পর্যটকদের জন্য যেন এখানে আরো সুন্দর ও মনোরম পরিবেশ গড়ে তোলা হয়।