স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া-আগরতলা সড়কের পাশে সরকারি খাল দখল করে মার্কেট তুলার অভিযোগ উঠেছে এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে। উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের চেকপোস্ট সংলগ্ন কালিকাপুর অংশে সরকারি খালের প্রায় ৩০ ফিট জায়গা দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করেছেন তিনি। ওই যুবলীগ নেতা হলেন, আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ইদন মিয়া।
স্থানীয়রা জানান,ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র খাল (জাজির খাল নামে পরিচিত) এটি। এ অঞ্চলে বড় ধরনের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত রাখতে হলে খাল দখল মুক্ত রাখতে হবে। যদি খালটি দখলমুক্ত না করা যায় তাহলে বন্যার সময় ভয়াবহ পরিস্থিতি হতে পারে বলে মনে করেন এলাকাবাসী।
স্থানীয়দের অভিযোগ প্রশাসন বিষয়টি জানার পরেও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয়রাও তার বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস পাচ্ছে না।
সরকারি খালা দখলে বিষয়ে জানতে চাইলে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ইদন মিয়া বলেন, আমি সরকারি খাল দখল করে ভবন তৈরি করিনি নাই, আমার জায়গায় ভবন নির্মান করিছি। যদি সরকারি খালে আমার জায়গা থাকে তাহলে আমি নিজেই তা ভেঙ্গে ফেলব। সরকার ব্রিজ করেছে কিন্তু একোয়ার করে ব্রিজ করেনি, আমার জায়াগার মধ্যে ব্রিজ করেছে। আমি চেকপোস্টের ভাবমূর্তি সৌন্দর্যের জন্য রিটার্নিং ওয়াল করেছি। রিটার্নিং ওয়াল করতে গিয়ে হয়তো একটু কোণা বাড়ছে। এতে করে জনগণের অসুবিধা হবে বলে মনে করি না। ব্রীজের রেলিং আমি ভাঙ্গি নাই, ভেঙেছে ট্রলি। আমি এটা ঠিক করতে চেয়েছিলাম। সরকারি জিনিস পরে বাঁধা এসেছে তাই আমি এটা ঠিক করিনাই।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুর এ আলম জানান, আখাউড়া-আগরতলা সড়কের পাশে খালে অবৈধ স্থাপনার বিষয়ে ঐ ব্যক্তি দাবি করেছে তার নিজের জায়গা। আমরা ভূমি অফিসের মাধ্যমে তার কাগজপত্র যাচাই এর ব্যবস্থা নিয়েছি। আর যদি সরকারি জায়গায় অবৈধ স্থাপনা করা হয়ে থাকে তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে উচ্ছেদ করার জন্য ব্যবস্থা নিব। ব্রিজের রেলিং ভাঙ্গার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, এটা রোডস এন্ড হাইওয়ের জায়গা। তারা যদি আমাদেরকে বলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।