স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় পরকীয়া প্রেমিকার সাথে দেখে ফেলায় রাজু মিয়া-(১৮) নামে এক যুবককে ডেকে নিয়ে খুন করা হয়েছে।
রোববার রাতে আখাউড়া পৌর এলাকার দেবগ্রামের টানা ব্রীজের পাশে এ ঘটনা ঘটে। রাজু দেবগ্রামের দুলাল মোল্লার বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতো। তার গ্রামের বাড়ি লক্ষীপুর জেলার কমলপুর উপজেলায়। সে আখাউড়ায় ডিশ লাইনের কর্মচারী হিসেবে কাজ করতো।
নিহত রাজু মিয়ার পরিবারের অভিযোগ শুভ মিয়া-(২৫) নামে এক যুবক তাকে ডেকে নিয়ে খুন করেছে। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোমবার পরকীয়া প্রেমিকা ও শুভ মিয়ার মা-বাবাকে আটক করেছে।
পুলিশ জানায়, শুভ মিয়ার বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলায়। সে পরিবার-পরিজন নিয়ে পৌর এলাকার দেবগ্রামের শেখ রেজাউল করিমের বাসায় ভাড়া থাকতো। ঘটনার পর পরই স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যায় শুভ।
এদিকে সোমবার দুপুরে সহকারি পুলিশ সুপার (কসবা সার্কেল) মোঃ নাহিদ হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
নিহত রাজুর পিতা আলমগীর মিয়া জানান, প্রায় ২০ বছর ধরে তিনি আখাউড়ায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করছেন। বিয়ে করেছেন আখাউড়া উপজেলার নয়াদিল গ্রামে। তার ছেলে রাজু ডিশ লাইনের কর্মচারি হিসেবে কাজ করতো। রোববার রাতে রাজু দেবগ্রামের টানা ব্রীজের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলো। সে সময় শুভ তাকে ডেকে একটু ভেতরে নির্জন জায়গায় নিয়ে ছুরিকাঘাত করে। খবর পেয়ে রাজুকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় রেফার করলে ঢাকায় নেয়ার পথে আশুগঞ্জ এলাকায় রাজু মারা যায়।
রাজুর মা আনোয়ারা বেগম অভিযোগ করে বলেন, ৩/৪ মাস আগে বিবাহিত শুভকে একই এলাকার এক মেয়ের সাথে একান্তে কথা বলতে দেখে রাজু। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরেই রাজুকে খুন করেছে শুভ।
এ ব্যাপারে আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ রসুল আহমেদ নিজামী বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ওই মেয়ের সাথে রাজু ও শুভ দু’জনই সর্ম্পক রাখতো। এনিয়ে দু’জনের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। তিনি বলেন, রাজুর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই মেয়ে এবং শুভ মিয়ার মা-বাবাকে আটক করা হয়েছে। শুভ মিয়া ঘটনার পর পরই তার স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে।