স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় পূর্বশত্র“তার জেরে এক ব্যক্তির ইজারা নেয়া পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে ১২ লাখ টাকার মাছ মেরে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ২৬ মে ভোররাতে উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের ঘোলখার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ২৯ মে আখাউড়া থানায় ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ক্ষতিগ্রস্ত মাছ চাষী মোহাম্মদ বশির আহম্মেদ ভূইয়া।
মামলার এজহার সূত্রে জানা গেছে, ঘোলখার গ্রামের বাসিন্দা বশির মিয়া তার গ্রামের একটি পুকুর ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করেন। পুকুরটিতে রুই-কাতলসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করেন তিনি। পূর্বশত্র“তার জেরে মামলার প্রধান আসামি নিমা মিয়াসহ অন্য আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে পুকুরটিতে বিষ প্রয়োগ করে মাছগুলো মেরে ফেলার পায়তা করে আসছিল। গত ২৫ মে রাত সাড়ে ১১টায় নিমা মিয়াসহ আরও দুইজনকে পুকুরের পাশে দেখতে পান বশির। এ সময় বশির তাদেরকে দেখে পুকুরের কাছে আসার কারণ জানতে চাইলে তারা কোনো সদোত্তর দিতে পারেনি।
এজহারে আরও বলা হয়, ২৬ মে ভোররাতে বশির পুকুরে গিয়ে দেখতে পান সব মাছ মরে ভেসে উঠেছে। এ সময় পুকুরে দুইটি কীটনাশকের বোতল পান তিনি। কীটনাশক প্রয়োগে ফলে পুকুরটিতে থাকা আনুমানিক দেড়শ মণ মাছ মরে গেছে। পরে বশির আসামিদের কাছে কীটনাশক প্রয়োগের বিষয়টি জানতে চাইলে তাকে মারধর করা হয়।
মামলার বাদী ও ক্ষতিগ্রস্ত মাছ চাষী বশির আহম্মেদ ভূইয়া জানান, দীর্ঘদিন ধরে আমার ইজারা নেওয়া পুকুরটি আসামিরা জোরপূর্বক দখলে নেয়ার পায়তারাসহ বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল। তারা পরবর্তীতে ঘটনাদিন পুকুরে কীটনাশক প্রয়োগ করে আনুমানিক আমার ১২ লাখ টাকার মাছ মেরে ফেলেছে। এরপরও আসামিরা বিভিন্নভাবে পরোক্ষভাবে আমাকে হুমদি দিয়ে যাচ্ছে।
মামলার এজহারভুক্ত ৫ নং আসামি এনামূল মিয়া বলেন, ঘটনার দিন আমার ছোট ভাই বশির মিয়ার সাথে ঝগড়া হয়। আমি ঝগড়া থামাতে যাই। এ নিয়ে বশির মিয়া ভুল বুঝে আমাকে আসামি করেছে। মাছ কে মেরেছে আমি কিছুই জানি না।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ধরখার পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) বিমল কর্মকার বলেন, ইতোমধ্যে মামলার এজহারভুক্ত একজন আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।