আখাউড়া প্রতিনিধি:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের হীরাপুর দক্ষিণ পাড়া গ্রামের দরীদ্র রিক্সাচালক নজরুল ইসলাম বিকাশ(২৫) পেশায় একজন রিক্সা চালক, থাকেন ছোট্ট একটি নড়বড়ে টিনের ঘরে, তবুও স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে রিক্সা চালানোর আয় দিয়ে বেশ ভালোই চলছিলো তাদের ছোট্ট সুখের সংসার।
এখন বড় সন্তান মোস্তাকিমের বিরল রোগই যেন তাদের সকল সুখ কেড়ে নেবার কারণ, প্রায় ৫ বছর ধরেই মোস্তাকিমের শরীরের পোরো অংশে দেখা দেয় চুলকানি, একসময় চুলকাতে চুলকাতে সারা শরীরের মাংসে দেখা দেয় ক্ষত, হত-ও পায়ের চামরাতে দেখা দেয় বুড়ো মানুষদের মতো চামরা জমে যাওয়া।
রিক্সা চালিয়ে যা কিছু জমা করে ছিলেন সবই শেষ করেছে বড় ছেলে মোস্তাকিম কে বাচাঁতে, কুমিল্লা-ঢাকা সহ বেশ কয়েকজন ডাক্তার দেখানোর পর প্রায় ১৫ টি পরিক্ষা করানোর পরেও ডাক্তার বলতে পারছেনা এ রোগের নাম, খরচ হয়েছে জীবনের সব সঞ্চয়, এখন মোস্তাকিমের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন অনেক টাকা, তার শরীরে চুলকাতে চুলকাতে যখন শিশুটি কেঁদে ওঠে তখন যেন মা-বাবার বুক ফেটে যায় এনময় এক হৃদয় বিদারক সময় যাচ্ছে তাদের।
শিশুটির মা শারমিন আক্তার কেঁদে কেঁদে বলেন, আমার এই ছেলেটির শরীরের চুলকানি শুরু হয় প্রায় ৫ বছর আগে, এর পর থেকে ধীরে ধীরে এ রোগটি তার সারা শরীরে ছড়িয়ে পরে, চুলকানের সময় ওর কান্না দেখলে আমার বুকটা ফেটে যায়, আমি কি করবো বুঝতে পারছিনা, আমাদের যা কিছু ছিলো সব কিছু দিয়েও ওর চিকিৎসা কার্য সমপ্ন করতে পারিনি, আমরা দেশবাসীর কাছে আমার সন্তানকে বাচাঁতে সাহায্য চাইছি।
শিশু মোস্তাকিমের বাবা নজরুল ইসলাম বিকাশ বলেন, আমার ছেলেটির রোগের নাম কোন ডাক্তারই বলতে পারেননি, ডাক্তার বলেছে আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকার কোন ভালো হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে, আমি এমনিতেই ওর চিকিৎসার জন্য অনেক মানুষের কাছ থেকে ধার করে টাকা এনেছি এখন আমি কি আমার কিডনি বিক্রি করে ওর চিকিৎসা করবো আমি বুঝতে পারছিনা, দেশের বৃত্তবানরা আমাকে সাহায্য করুন আমার এ অবুঝ শিশুটিকে বাচাঁতে, আমি আপনাদের কাছে চির কৃতজ্ঞ থাকবো।
যোগাযোগঃ মোস্তাকিমের মা- ০১৬৪৬-২৬২৪৩৬
বিকাশ নাম্বারঃ পার্সোনাল ০১৯৮৩-০৭৩১৪৫