এনবি ডেস্ক:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় পৈত্রিক ওয়ারিশসূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি ও দুই ভাইয়ের যৌথ অর্থে নির্মিত পাকা ভবনের নিজের অংশের মালিকানার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সাবেক উওর ইউপি চেয়ারম্যান মাইনুল ইসলামের ছোট ভাই ফখরুল ইসলাম ও তার তিন বোন। দুপুরে পৌরশহরের মসজিদ পাড়ায় রশিদ মঞ্জিলে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ফখরুল ইসলাম বলেন, পৈত্রিক ওয়ারিশ সূত্রে আমরা ২ ভাই ও ৩ বোন আখাউড়া মৌজার ৫১৬নং দাগের ৮.৬৯ শতক ভূমির মালিক। ২০০৮ সালে আমার বড় ভাই মাইনুল ইসলাম পাকা বাড়ি নির্মাণ করার উদ্যোগ নেন। ভাইয়ের আর্থিক অবস্থা দুর্বল থাকার কারণে বাড়ি নির্মাণের সময় আমার কাছ থেকে কয়েকটি কিস্তিতে মোট ৫৬ লক্ষ টাকা নেন। ৪তলা ভীতের ২য় তলা বাড়ি নির্মাণ হওয়ার পর দুই ভাই শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করে আসছি। আমি চা বাগানে চাকুরীর সুবাদে এলাকার বাহিরে থাকি।
এক দ্ইু মাস পর পরিবার নিয়ে বাড়িতে আসতাম। ভবিষ্যতে দুই ভাইয়ের পরিবারের মধ্যে যাতে কোন ঝামেলা না হয় সে জন্য গত ২০১৫ সালের ২০ জানুয়ারি আমার ভাই মাইনুল ইসলাম কে আমি ভবন নির্মাণে ৫৬ লক্ষ টাকা দেওয়ার কারণে ২য় তলায় ২টি রুম, ২টি বাথরুম ও ১টি বাড়ান্দার মালিকানা প্রদান করে একটি না দাবী নামা দলিল করে দেন। এরপর থেকে আমরা দুই পরিবার শান্তিপূর্ণ ভাবে ওই ভবনে বসবাসকালে ২০১৫ সালের ১২ এপ্রিল আমার ভাই মাইনুল ইসলাম মৃত্যু বরন করেন।
আমার ভাই অসুস্থতার সময় এবং ভাইয়ের মৃত্যুর পর তাদের দেনা পরিশোধ করার জন্য আমার ভাতিজা মাজহারুল ইসলাম রাজিব ও আমার ভাবী আমার কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে ২১ লক্ষ ১১ হাজার টাকা নেয়। সে টাকাও ফেরত দেয়নি।
ফখরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, ভাইয়ের মৃত্যুর বছর খানেক পর থেকেই আমার ভাতিজা মাজহারুল ইসলাম রাজিব আমি যাতে বাড়িতে বসবাস করতে না পারি ষড়যন্ত্র শুরু করে। আমি বাড়ি আসলে আমার সাথে দুর্ব্যবহার করে। কোরবাণী ঈদের পর আমি স্বপরিবারে বাড়িতে এসে দেখি আমার রুম তালাবদ্ধ করে রেখেছে। এরপর থেকে আমাকে বাসায় উঠতে দিচ্ছে না। আমি ও আমার বোনেরা বাড়ি মাপঝোক করে পৈত্রিক সম্পত্তির অংশ বুঝাইয়া দিতে বললে আমার ভাবী ফাতেহা খাতুন ও আমার ছোট ভাতিজা মহিউল ইসলাম তালবাহানা করে কালক্ষেপন করে আসছে। এলাকার প্রভাবশালী লোক দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকে। আমার ভাতিজা ও তার পরিবারে সদস্যরা আমাকে পৈত্রিক সম্পত্তিসহ পাকা ভবনের মালিকানা থেকে বঞ্চিত করার ষড়যন্ত্র করছে। বাসায় না উঠার জন্য আমাকে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছে। আমরা পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা করছি পাশাপাশি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
আমি শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য আখাউড়া পৌরসভায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। পৌর কর্তৃপক্ষ গত ৮ সেপ্টেম্বর উভয় পক্ষকে পৌরসভায় ডাকলেও আমার ভাতিজা রাজিব পৌরসভায় আসেনি। সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল ইসলামের ৩ বোন আয়েশা বেগম, দিলারা বেগম ও ফেরদৌস রহমান উপস্থিত ছিলেন। এসময় তারাও তাদের পৈত্রিক সম্পত্তির অংশ দাবী করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাজহারুল ইসলাম রাজিব বলেন, চাচার অভিযোগ্য সত্য নয়। আমার পিতা জীবিত থাকতেই ওয়ারিশদের যাবতীয় পাওনা মিটিয়ে গেছেন। বাবার মৃত্যর ৪ বছর পর এ দাবী হাস্যকর।