Advertisement

সড়কের যেন বেহাল দশা, পরিণত হয়েছে মরণ ফাঁদে

NewsBrahmanbaria

এই আর্টিকেল টি ৯১৬।

এনবি ডেস্ক:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের বাউতলা-জয়নগর সীমান্তবর্তী একটি জনবহুল এলাকার রাস্তা। এ রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে দীর্ঘদিন ধরে। তবুও প্রয়োজনের তাগিদে চলাচল করছে জনসাধারণ। ঝুঁকি নিয়ে চলতে গিয়ে মাঝে-মধ্যেই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। গত কয়েক বছর ধরে পড়ে থাকা বেহাল দশা রাস্তার ভাঙা অংশ মেরামত না করায় বড় বড় গর্ত পরিণত হয়েছে মরণ ফাঁদে।

এলাকাবাসী জানায়,গ্রামের রাস্তাটি এমন অবস্থায় রয়েছে যে, দীর্ঘদিন সড়কের বেহাল দশার কারণে যাত্রীরা কোন প্রকার যানবাহন দিয়ে এ সড়কে যাতায়াত করতে পারছে না। শুধুমাত্র পায়ে হেটেই চলাচল করতে হয়। বিশেষ করে বিপাকে পড়ছেন স্কুলগামী শিক্ষার্থী ও অসুস্থ রোগীরা।

এ রাস্তা দিয়ে মোগড়া ইউপির জনসাধারণসহ আশ-পাশের কয়েক গ্রামের মানুষ যাতায়াত করেন। দ্রুত রাস্তাটির ভাঙা অংশে সংস্কারের ব্যবস্থা না নিলে বড় ধরনের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছেন। তবে দিনের বেলায় কষ্ট করে যানবাহন চলাচল করলেও রাতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। ভাঙা রাস্তার কারণে পথচারীসহ এলাকাবাসীর দুর্ভোগ চরমে উঠেছে বলেও জানান গ্রামবাসী। গ্রামবাসীর দাবি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুলহক যেন এটি খুব দ্রুত সংস্কার কাজে হাত দেন।

সাইফুল ইসলাম নামে এক স্থানীয় জানান, এই সড়কে এলাকার হাজার হাজার মানুষ প্রতিনিয়ত উপজেলা সদর, জেলা সদরসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করেন।কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এই সড়কটি চলাচল অনুপযোগী হওয়ায় সাধারণ মানুষ বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন।প্রতিনিয়তিই ঘটছে দুর্ঘটনা। এটি খুব দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।

মোগড়া ইউপি চেয়ারম্যান মনির হোসেন জানান, রাস্তাটি ভেঙে জনসাধারণের চলাচলে ভোগান্তি হচ্ছে। ইতি মধ্যে আমরা অনেকটি রাস্তার সংস্কারের কাজ করেছি বাকী রাস্তাগুলো সরকারি বরাদ্দ না থাকায় সংস্কার করা সম্ভব হচ্ছে না। বরাদ্দ পেলেই সংস্কার কাজ শুরু করবো। তাছাড়া বাউতলা বাঁশের ব্রিজ থেকে আদমপুর পর্যন্ত রাস্তার টেন্ডার প্রক্রিয়াদীন।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী আবুল হাসনাত জানান, এটি নিয়ে আমি আমার নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে কথা বলেছি তিনি ঢাকায় বিষয়টি জানাবেন।

Advertisement

Sorry, no post hare.

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com