এনবি ডেস্ক:
তিতাস পাড়ের জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সন্তান আজিজুল হক (৫৩) পেশায় একজন পুলিশ সদস্য, তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের টানোয়া পাড়া গ্রামের মৃতঃ মারফত আলীর ছেলে, তিনি ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করে।
বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ পুলিশ সাংস্কৃতিক পরিষদ রাজার বাগ এ কর্মরত আছেন, তিনি শখ করে শেখেন বাশিঁ বাজানো, ছোট বেলা থেকেই বাশিঁ বাজানো শেখার আগ্রহ আসে তার মনে কিন্তু মাধ্যম না পেয়ে পিছিয়ে যাননি তিনি পরে ১৯৯৬ সালে উস্তাদ গাজী আব্দুল হাকিম ও উস্তাদ আনসার আলীর সরনাপন্ন হন তিনি তাদের কাছ থেকেই তালিম নেন আজিজুল হক।
তিনি কোথাও বাশি বাজালে কান পেতে শোনেন উৎসুক জনতা, বাশিঁর সুর তোললে চোখ বুজে শোনতে ইচ্ছে হয়, তার বাশির সুর মন ছুয়েঁ যায় উপস্থিত সকলের, তিনি নিজ উদ্যোগে গড়ে তুলেন “তিতাস ফ্লুট নামক বাশিঁ” আজিজুল হক নিজেই বানায় এসব বাশিঁ তার বাশিঁ কিনতে ছুটে আসেন দূর দূরান্তের বিভিন্ন এলাকার বাশিঁ প্রেমী মানুষ তিনি আরো জানান তিনি চান তার বাশিঁ ছড়িয়ে পড়ুক পোরো বাংলাদেশে, তিনি আরো বলেন তার হাতে বানানো “তিতাস ফ্লুট” বাশি দেশের বিখ্যাত বংশী বাদকরা তার কাছ থেকে নিয়ে বাজায়।
কথা হলে আজিজুল হক বলেন ছোট বেলা থেকেই পড়েন সুরের প্রেমে আর সেই থেকেই বাশিঁর সাথেই তার বসতি, তিনি বাংলাদেশ বেতারের নিয়মিত শিল্পী, তিনি ২০০৯ সালে বিখ্যাত বংশী বাদক হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক ও স্বারাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এর কাছ থেকে পান বিশেষ সম্মাননা স্বারক।
বাশি বাজানোর প্রতি তার ভালবাসা থাকায় তার সন্তান মেহেদী হাসান রাব্বী কে ও বাশি বাজানো শেখায়, ভর্তি করেন মিউজিক কলেজে, মেহেদী বাশিঁ বাজানোয় প্রথম স্থান অধিকার করে বেশ কয়েকবার পুরস্কিত হয়েছে,