Advertisement

আখাউড়ায় বন্যা পরিস্থিতি অবনতির দিকে, পানি ক্রমশ বাড়ছে

NewsBrahmanbaria

এই আর্টিকেল টি ৭৬।

নিউজ ডেস্ক,

ভারি বর্ষণ ও ভারতের পাহাড়ি ঢলে সীমান্তবর্তী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার উপজেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে। বুধবার (২১ আগস্ট) রাত থেকেই পানির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে আখাউড়া উত্তর, দক্ষিণ, মোগড়া ও মনিয়ন্দ এ চার ইউনিয়নের ৩৪টির বেশী গ্রাম পানিবন্দি রয়েছে।

পানিবন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় সাড়ে পাঁচশ পরিবার। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ধানি জমি, শাকসবজির জমিসহ বিভিন্ন মাছের ঘেড়।

স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাত থেকে আখাউড়ায় ভারি বর্ষণ শুরু হয়। সকাল থেকে বন্দরের পাশ বয়ে যাওয়া খাল দিয়ে ভারত থেকে তীব্র বেগে পানি ঢুকতে থাকে। এক পর্যায়ে স্থলবন্দর, বাউতলা, বীরচন্দ্রপুর, কালিকাপুর, বঙ্গেরচর, সাহেবনগরসহ অন্তত ৩৪টির বেশী গ্রামে পানি ঢুকে পড়ে। ভেঙে যায় গাজীরবাজার এলাকার অস্থায়ী সেতু। এর আগে মঙ্গলবার খলাপাড়া এলাকায় হাওড়া নদীর বাধের কিছু অংশ ভেঙ্গে পানি ঢুকতে শুরু করে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) গাজালা পারভীন রুহি ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা ঘুরে দেখেন।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মনজুরুল আলম জানান, হাওড়া নদী ও জাজী গাংসহ বিভিন্ন নদীর পানি বিপদ সীমার কাছাকাছি রয়েছে। তা অতিক্রম করলে আরো নতুন করে এলাকা প্লাবিত হতে পারে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গাজালা পারভীন জানান, দুর্গতদের জন্য শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও জেলা প্রশাসন থেকে ত্রাণ বরাদ্দ পাওয়ার সাথে সাথে দুর্গতদের মাঝে ২০ কেজি করে চাউল দেওয়া হবে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুশান্ত সাহা জানান, পাহাড়ি ঢলে ১৯৫ হেক্টর শাক সবজির জমি, ১২২ হেক্টর আমনের বীজতলা, ৩৪৪০ হেক্টর রোপা আমন ধানের জমি পানিতে নিচে তলিয়ে আছে। দ্রুত পানি সরে গেলে ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা কম। তবে পানি দীর্ঘস্থায়ী হলে ক্ষয়ক্ষতি বাড়তে পারে। এক সপ্তাহ পর ক্ষয়ক্ষতির চুড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরী করা হবে।

Advertisement

Sorry, no post hare.

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com