স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে ছাত্রদল নেতা নয়ন হত্যার দায়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপারসহ ৮ পুলিশের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৮/১০ কে আসামি করে ব্রাহ্মণবাড়িযার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট চতুর্থ আদালতে একটি হত্যা মামলার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার বেলা ১১টা নিহত নয়নের বাবা রহমত উল্লাহ বাদি হয়ে আদালতে এই মামলাটি দায়ের করেন। বিচারিক হাকিম সামিউল আলম এ বিষয়ে পরে আদেশ দেবেন মর্মে অভিযোগটি রেখে দেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বারের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি আবদুল মান্নান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এ সময় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামভুক্ত প্রায় অর্ধশত আইনজীবী এ মামলার শুনানীতে অংশগ্রহণ করেন।
মামলার আসামীরা হলেন, বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার কনস্টেবল বিশ্বজিৎ চন্দ্র দাস, কনস্টেবল শফিকুল ইসলাম, বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মতকর্তা নূরে আলম,ওই থানার পরিদর্শক(তদন্ত) তরুণ কান্তি দে, উপ-পরিদর্শক (এস.আই) আফজাল হোসেন খান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ মোহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন রেজা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান। এ ছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরও ৮/১০ পুলিশকে এ মামলার আসামি করা হয়েছে ।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, গত ১৯ নভেম্বর বিকেলে কুমিল্লা বিভাগীয় সমাবেশের লিফলেট বিতরণকালে খবর পেয়ে বাঞ্ছারামপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে মামলার ৭ও ৮ নং আসামি পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন রেজার নির্দেশে তারা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এক পর্যায়ে ১ নং আসামি কনস্টেবল বিশ্বচিৎ চন্দ্র দাস কাছ থেকে ছাত্রদল নেতা নয়নকে গুলি করে । গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকায় নেয়ার পর ঘটনার রাত ১০ টায় মারা যান। এদিকে বিকেল ৫টায় এ রিপোর্ট লেখা বিজ্ঞ হাকিম এ মামলার কোন আদেশ দেননি।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপারের বক্তব্য জানার জন্য মুঠো ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
###