আহসানুল হক নয়ন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
‘আমার ছেলে মাদক ব্যবসায়ি নয়। আপনারা এলাকা ঘুরে জানতে পারেন। যদি একজনও বলে যে আমার ছেলে মাদক ব্যবসা করে তাহলে তাকে গুলি করে মেরে ফেলা হোক।’ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আত্মীয়ের পক্ষে কাজ করায় ছেলে হাসান মিয়াকে ফাঁসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলে কান্নাজড়িত কণ্ঠে এ কথা বলেছেন বাবা আব্দুস সাত্তার। বৃহস্পতিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার খারকুট গ্রামে নিজ বাড়িতে হওয়া সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আব্দুস সাত্তার এ কথা বলেন। গত ৪ ফেব্রুয়ারি র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া হাসান মিয়া নামে ওই ব্যক্তির খারকুটের বাড়িতে পরিবারের পক্ষ থেকে হওয়া সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ আনা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মিয়ার ভাই বাবু মিয়া বলেন, ‘আমার ভাই একজন সহজ সরল প্রকৃতির লোক। আখাউড়া মনিয়ন্দ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৪নং ওয়ার্ডে আমাদের আত্মীয় আলম মিয়া প্রার্থী হলে তার পক্ষে কাজ করেন আমার ভাই। এতে ক্ষিপ্ত হন অপর প্রার্থী রফিকুল ইসলাম ও তার লোকজন। পাশাপাশি হাসান ভাই মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। এ কারণে তাকে মাদকসহ ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে। ৪ ফেব্রুয়ারি ভাইকে ধরে নিয়ে মাদকসহ মামলা দেয় র্যাব। এসময় হাসানের স্ত্রী শারমিন আক্তার জানান, এক আত্মীয়ের লাশ দেখে বাড়ি ফিরতে ছিলাম। পথিমধ্যে আমাদের অটোরিকশাটি আটক করে কয়েক ব্যক্তি তার স্বামীকে ধরে নিয়ে যান। পরে জানতে পারেন তারা র্যাব সদস্য। মামলা তুলে দেখেন মাদকসহ আটকের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।হাসানের পাঁচ বছর বয়সি ছেলে রাফি কাঁদতে কাঁদতে বলে, আপনারা আমার বাবাকে এনে দেন। আমার বাবার কোনো দোষ নাই।
আমি আমার বাবারে চাই। মা হেনা বেগম কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তিনি বলেন, আমার পুলা বড়ি (ইয়াবা) বেছেনা। আফনেরা সবাইরে জিগাইয়া দেহেন। শাহজাহান মিয়া নামে এক ব্যক্তি বলেন, হাসান যে মাদক ব্যবসা করে না সেটা গ্রামের সবাই জানে। আর যদি সে ব্যবসাই করতো তাহলে বাড়ির দিকে কেন যাবে মাদক নিয়ে। তবে নব নির্বাচিত ইউপি মেম্বার মো. রফিকুল ইসলাম এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, এলাকা হাজার লোককে জিজ্ঞেস করলে ৯৯৯ জন বলবে হাসান মাদক ব্যবসায়ি। এ পক্ষটি নিবার্চনের আগে আমার উপর হামলা করেছিল।