স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে কৌশলে বাড়িতে ডেকে নিয়ে শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। সামাজিক ভাবে বিষয়টি মিমাংসা করতে গিয়ে সালিশে শিশুটির ইজ্জতের রায় করা হয় ৫ হাজার টাকা। ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় সোমবার দুপুরে থানায় অভিযোগ দায়েরের পর পরই পুলিশ অভিযুক্তকে আটক করেছে ।
জানা গেছে, শুক্রবার জুম্মা নামাজের পর নবীনগর পৌর এলাকার পশ্চিম পাড়ায় বসবাসকারী এক ভিক্ষুকের ৯ বছরের এতিম নাতনি, দোকান থেকে কেক কিনে বাড়িতে আসার সময়, একই মহল্লায় বসবাসকারী, রায়পুরা উপজেলার মজিদপুর গ্রাম থেকে আসা জহর মিয়া (জইল্লা) (৫০) ওই শিশু কন্যাকে (৯) কৌশলে বাড়িতে ডেকে নিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় শিশুটির চিৎকারে পাশের বাড়ির আলমগীরের মা এগিয়ে এসে শিশুটিকে উদ্ধার করে।
এই ঘটনার সঠিক বিচার না পেয়ে শিশুটির দাদী আয়েশা বেগম সোমবার দুপুরে নবীনগর প্রেসক্লাবে এসে সাংবাদিকদের বলেন, আমরা ময়মসিংহ থেকে গত নয় বছর আগে নবীনগর আসি। যারা দয়া করে জায়গা দেয় তাদের বাড়িতে থাকি, আমার ছেলে মানুষিক প্রতিবন্ধি, আমার নাতনি এতিম, তার মা নেই। আমি ভিক্ষা করে সংসার চালাই। এই ঘটনায় কমিশনারের বড় ভাই বিরাজ মিয়াসহ স্থানীয়রা সালিশ করে বিচারে রায় ৫ হাজার টাকা আমার কাছে নিয়ে আসে।
আমি টাকা রাখি নাই, আমি ভিক্ষুক হতে পারি, তাই বলে নিজের শিশু নাতনির ইজ্জত ৫হাজার টাকার কাছে বেঁইচ্চা দিমু? আমার নাতনি না থাকলে আমি টাকা দিয়া কি করুম,আপনারাই কইন। আমি এই ঘটনার দৃষ্টান্ত মূলক বিচার চাই।
স্থানীয় কমিশনার আবু তাহের বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। শুনেছি বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য চেষ্টা করা হয়েছে। এর পর কি হয়েছে তায় আর বলতে পারিনা । যাঁরা সালিশ করেছে তারা ঠিক করেননি।
নবীনগর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) আমিনুর রশিদ জানান, শিশু ধর্ষণের চেষ্টায় সোমবার দুপুরে নবীনগর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযুক্ত জহর মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখন আইনগতভাবে কার্যক্রম চলবে।