স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ফেরার পথে বিএনপির দু’ গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে। শুক্রবার সকালে উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশসহ উভয়পক্ষের অন্তত ২০জন আহত হয়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শুক্রবার সকালে উপজেলা সদরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দেয়ার জন্য আসেন উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব নুরুজ্জামান লস্কর তপু ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেনের সমর্থকরা। ফুল দেয়ার সময় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে ফেরার পথে উভয় গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও ৬ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে।
সরাইল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কবির হোসেন বলেন জানিয়েছে, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ছয়জনকে আটক করেছে।
এদিকে বাঞ্ছারামপুরে সালিস বৈঠকে এসে এলাহী মিয়া (৩৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার মানিকপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এলাহী মায়ারামপুর গ্রামের বজলু মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, মানিকপুর গ্রামের মৃত আব্দুল কাদেরের দুই ছেলে নাজির হোসেন ও আমির হোসেনের মধ্যে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য বৃহস্পতিবার রাতে সালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। ওই বৈঠকে অংশ নিতে মানিকপুরে আসেন আমির হোসেনের শ্যালক এলাহী মিয়া। কিন্তু সালিসে আসায় নাজিরের পক্ষ নিয়ে তার চাচাতো ভাইয়ের ছেলে মেহেদী হাসান লাঠি দিয়ে এলাহীর মাথায় আঘাত করেন।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত এলাহীকে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পর সেখানে তিনি মারা যান। বাঞ্ছারামপুর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজু আহমেদ জানান, এ ঘটনায় নিহতের বোন
অভিযুক্ত মেহেদী হাসানকে পুলিশ আটক করেছে।