স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় মাঠে চড়ানো একটি গরুর পা বেঁধে গরুর পিছন দিক দিয়ে কেটে এর নাড়ি-ভূড়ি, কলিজা বের করে খেয়ে ফেলে তারেক-(১৮) নামে এক কিশোর।
সোমবার পৌর এলাকার তারাগন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী ওই কিশোরকে আটক করেছে। তারেক এই এলাকার মোঃ আমাল খাঁর ছেলে। খবর পেয়ে এলাকায় শত শত লোক ভীড় করে। স্থানীয় লোকজন জানান, তারেক মানসিক রোগী। এদিকে তারেকের বাবা ক্ষতিগ্রস্থ গরুর মালিককে ক্ষতিপূরণ দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তবে এ ঘটনায় অন্যান্য গরুর মালিকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয়রা জানান, তারাগন গ্রামের পশ্চিমপাড়ার মোঃ আবু তাহের মিয়া তার একটি গরু বাড়ির পাশেই খোলা মাঠে চড়াতে দেন। দুপুরে গিয়ে দেখেন গরুটি রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। তখন তিনি দেখতে পান গরুর পিছন দিক দিয়ে নাড়ি-ভূড়ি বের হয়ে আছে। এর পাশে বসে আছে এক কিশোর। গরুর মালিককে দেখে ওই কিশোর পালিয়ে যায়। পরে তাকে ধরে আনলে গরুর পা বেঁধে পিছন দিক দিয়ে কেটে নাড়ি-ভূড়ি, কলিজাসহ বের করে খায় বলে সে স্বীকার করে। এরই মধ্যে শত শত লোক জড়ো হয়ে যায়।
গরুর মালিক আবু তাহের মিয়া জানান, কিছুদিন আগে ৫০ হাজার টাকায় তিনি গরুটি কিনেন। সোমবার বাড়ির পাশে ঘাস খাওয়ার সময় এলাকারই এক কিশোর এ ঘটনা ঘটায়। প্রথমে বিষয়টি তার বিশ্বাস হয় নি। পরে তাকে ধরে আনলে সে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে। তবে কি কারণে সে এমন করলো এ বিষয়ে কোনো কথা বলে না। পরে আবু তাহের মিয়া গরুটিকে জবাই করেন।
তারাগন গ্রামের বাসিন্দা আলম মিয়া বলেন, ‘মানুষকে কত ধরণের খাবার খেতে দেখেছি। কিন্ত এভাবে তাজা গরুর নাড়ি-ভূড়ি খেতে দেখিনি। নিজের গরু নিয়ে এখন দুশ্চিন্তায় আছি।
একই এলাকার মুর্শেদ মিয়া বলেন, আগে মাঠে গরু দিয়ে নিশ্চিন্তে বাড়িতে গিয়ে অন্যান্য কাজ করেছি। এখন দেখছি এটাও ভয়ের কারণ।
এ ব্যাপারে কিশোরের বাবা আমাল খাঁ বলেন,কেন আমার ছেলে এই কাজ করেছে তা বুঝতে পারছিনা। ছেলের কিছুটা মানুষিক সমস্যা আছে। আমি গরুর মালিককে বলেছি ক্ষতিপূরন দিয়ে দিব।
এ ব্যাপারে আখাউড়া পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ মানিক মিয়া বলেন, ‘এটি অবশ্যই একটি দুঃখ জনক ঘটনা। ধারণা করা হচ্ছে, ওই ছেলেটির মানসিক সমস্যা রয়েছে।
এ ব্যাপারে আখাউড়া উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ কামাল বাশার সাংবাদিকদেরকে জানান, ঘটনাটি শুনে দ্রুত খোঁজখবর নিতে লোক পাঠানো হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে কিশোর মানসিক রোগী। তাকে চিকিৎসা দেয়া প্রয়োজন।