Advertisement

আল্লামা মনিরুজ্জামান সিরাজীর জানাযায় মানুষের ঢল, মহাসড়কে তীব্র যানজট

NewsBrahmanbaria

এই আর্টিকেল টি ১০৭৮।

স্টাফ রিপোর্টার:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রখ্যাত আলেম ভাদুঘর জামিয়া সিরাজীয়া দারুল উলুম মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ও শায়খুল হাদিস আল্লামা মনিরুজ্জামান সিরাজী জানাযায় অংশ নিতে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে অর্থ লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয়। রবিবার দুপরে পৌর এলাকার ভাদুঘরে নিজ বাস ভবনে ইন্তেকাল করেন তিনি। এরপর মরহুমের জানাযার স্থান ঠিক করা হয় শহরের ঈদগাহ মাঠে। সেখান থেকে জেলা প্রশাসন পুলিশ প্রশাসন মাদ্রাসা নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করে জানাযার স্থান ঠিক করে স্টেডিয়ামে।

পরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনুরোধ করে স্থান পরিবর্তন করে মহুমের প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসা ভাদুঘর জামিয়া সিরাজীয়া দারুল উলুম মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে নামাজের স্থান নির্ধারন করা হয়। বাদ আসর জানাযা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও প্রায় এক ঘন্টা বিলম্বে নামাজ অনুষ্ঠিত হয় ভাদুঘর সিরাজীয়া মাদ্রাসা প্রঙ্গনে।

এসময় মহাসড়কের ও আশপাশের খালি জায়গায় জানাযার নামাজ পড়ার জন্য মুসল্লিরা সমাবেত হয়। এতে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে প্রায় ৩ ঘন্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে ও দু পাশে কয়েক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে যানজন সৃষ্টি হয়। এতে জেলার প্রখ্যাত আলেম ওলামাসহ বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগন অংশ গ্রহন করেন।

জানাযার প্রাক্কালে বক্তব্য রাখেন জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রসার প্রিন্সিপাল মুফতী মোবারক উল্লাহ, দারুল আরকাম মাদ্রাসার মহাপরিচালক মাওলানা সাজিদুর রহমান, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় মহাসচিব নূর হোসেন কাসেমী ও খেলাফত যুব মজলিশের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মামুনুল হক। এদিকে জানাযাকে ঘিরে প্রচুর সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

জেলার পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান বলেন, আমরা তাদের অনুরোধ করেছি স্বাস্থ্য বিধি মেনে নামাজে অংশ নেয়ার। সব কিছু স্বাভাবিক রাখতে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আল-মামুন সরকার জানান, স্থানীয় আলেম সমাজের সাথে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার কথা বলে স্বাস্থ্য বিধি রক্ষা করে যাতে জানাযা হয় সে জন্য দু,দফায় জানাযার স্থান পরিবর্তন করা হয়।

প্রসঙ্গত, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রখ্যাত আলেম ভাদুঘর প্রিন্সিপাল ও শায়খুল হাদিস আল্লামা মনিরুজ্জামান সিরাজী ৯০ রবিবার ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে স্ত্রী, ১ ছেলে ও ৩ মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। মরহুমের মৃত্যুর সংবাদ শুনে সর্বমহলে শোকের ছাঁয়া নেমে আসে।

তাকে একনজর দেখতে জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দোলা খাঁন, পুলিশ সুপার, আনিসুর রহমান, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার ও জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ সহ নানা শ্রেনী পেশার মানুষ মরহুমের বাস ভবনে ছুটে যান। তিনি ছিলেন হেফাজতে ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সভাপতি, ইসলামী আইন বাস্তবায়ন কমিটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার আমীর ছিলেন।

Advertisement

Sorry, no post hare.

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com