স্টাফ রিপোটার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়ে যাওয়ায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের নার্সিং ইনস্টিটিউটকে নতুন করে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট আইসোলেশন কেন্দ্র করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সার্কিট হাউজ সম্মেলন কক্ষে জেলা করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কমিটির জরুরী সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, পৌর সভার মেয়র মিসেস নায়ার কবীর, সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মোঃ শওকত হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ডাঃ আবু সাঈদ সহ কমিটির সকল সদস্যগন উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খাঁন সাংবাদিকদের বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া বক্ষব্যাধি হাসপাতালকে বর্তমানে আইসোলেশন কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। সেখানে বর্তমানে ১৭জন করোনা আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। বক্ষব্যাধি হাসপাতালে মাত্র ২৫টি বেড রয়েছে। এ অবস্থায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়তে থাকায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের নার্সিং ইনস্টিটিউটকে নতুন করে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট আইসোলেশন কেন্দ্র করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে নব-নির্মিত ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজকে আইসোলেশনের জন্যে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়াও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাধারন মানুষকে সচেতন করার জন্যে নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
এদিকে সভা শেষে সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ সাংবাদিকদের জানান, জেলায় বর্তমানে ৩২ জন করোনা আক্রান্ত রোগী রয়েছে। এদের মধ্যে ১৭ জনকে বক্ষব্যাধি হাসপাতালে, ৬জন বিজয়নগর প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারিন্টিনে, ২জন আখাউড়ায় সেলফ কোয়ারিন্টেনে, দুইজন ঢাকায়, একজন কুমিল্লায়, একজন ময়মনসিংহে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তিনি বলেন একজন রোগী সুস্থ হয়েছেন ও দুই জন মারা গেছেন। তিনি বলেন, জেলার সকল মহলকে নিয়ে করোনা মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।