নাসিরনগর প্রতিনিধি:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া নাসিরনগর উপজেলা কমপ্লেক্সে নিরাপত্তা প্রহরীর ওপর হামলা ও হাসপাতাল চত্বরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। নিরাপত্তা প্রহরী ছায়েদ মোল্লা(৩২)কে জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে।
হাসপাতাল সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়,বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার গোয়ালনগর ইউনিয়নের নোয়াগাওঁ গ্রামের মতিলাল দাসের স্ত্রী লক্ষী রানী দাস ডায়রিয়া জনিতকারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়। ভর্তির পর লক্ষী রানী রাত ৯টার দিকে ওয়াশ রুমে গিয়ে পড়ে যায়।এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সমির দাসের নেতৃত্বে ভর্তিকৃত রোগী লক্ষী রানীর ছেলে টিটু দাসসহ তার সহযোগিরা কর্তব্যরত নার্স ও চিকিৎসককে গালমন্দ করে।
এসময় কর্তব্যরত নিরাপত্তা প্রহরী ছায়েদ মোল্লা এর প্রতিবাদ করলে তাকে মারধর করে আহত করে। এ ঘটনায় পুলিশ উপজেলা সদরের সমীর দাস(৪৫) ও টিটু দাস(৩০) নামে দুই জনকে আটক করেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ অভিজিৎ রায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,রাত সাড়ে ৯টায় দিকে ৩ জন লোক হাসপাতাল ক্যাম্পাসে এসে জনৈক ডাক্তারকে খোঁজ করে না পেয়ে নার্স ও ডাক্তারকে গালমন্দ করতে থাকে। এক পর্যায়ে নিরাপত্তা প্রহরী ছায়েদ মোল্লা তাদেরকে গালমন্দ না করার কথা বললে তাকে প্রথমে কিল-ঘুষি ও পরে লাঠি দিয়ে মারধর করে। পালিয়ে যাওয়ার সময় হাসপাতাল চত্বরে পরিত্যক্ত ফোমে অগ্নিসংযোগও করে তারা।
জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ জীবন চন্দ্র দাস বলেন,নিরাপত্তা প্রহরী ছায়েদ মোল্লার মুখের সামনের দুইটি দাতঁসহ হাতের একটি অংশ ভেঙ্গে গেছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পেয়েছে। নাসিরনগর থানার অফিসার ইনচার্জ সাজেদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে দুই জনকে আটক করা হয়েছে। এবিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।