স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ব্যক্তি মালিকানা জায়গায় বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার দুপুরে উপজেলার চাতলপাড় ওয়াজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে চাতলপাড় এলাকাবাসীর ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, জমি নিয়ে বিরোধ থাকার পরও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জোর করে ভবন নির্মাণ করেছেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের আলোচনায় জমির দাম দেয়ার কথা থাকলেও সেটি করা হচ্ছে না। এমনকি জায়গার মালিকানা দাবি করায় হুমকিও দেয়া হচ্ছে।
জায়গার মালিক দাবিদার আজমত মিয়া জানান, ক্রয়সূত্রে তাঁর বাবা আবু তালেব প্রায় পৌণে আট শতক (সাবেক ২৮৪ ও বর্তমান ২১১ দাগ) জায়গার মালিক। ভুল বশত: ওই জায়গাটি ওয়াজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের নামে বিএস খতিয়ানভুক্ত হয়। ২০১৫ সালে তিনি এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আদালতে মামলা দায়ের করেন। এ অবস্থার মধ্যেই বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ওই জায়গাতে ভবন নির্মাণ করছেন। এ বিষয়ে আদালত থেকে একটি আদেশও হয়। গত ১০ ডিসেম্বর নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছেও এ বিষয়ে অভিযোগ দেয়া হয়। এ নিয়ে চাতলপাড় পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনায় শতক প্রতি তাঁদেরকে পাঁচ লাখ টাকা করে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য বায়তুল আলম এসব অভিযোগে অস্বীকার করে বলেন, বিদ্যালয়ে ফ্লাড শেল্টার যেখানে নির্মাণ করা হচ্ছে সেটি ২০৯ দাগে। এছাড়া ২১১ দাগেও বিদ্যালয়ের জায়গা রয়েছে। আবু তালেবের ওয়ারিশদেরকে বলা হয়েছে আদালত থেকে মালিকানা প্রমাণ করে আনতে পারলে টাকা দেয়া হবে।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ মঞ্জু বলেন, ‘ওই বিদ্যালয়ে আমিসহ অনেকের জায়গা আছে। কিন্তু সবার স্বার্থে এ নিয়ে কেউ কোনো আপত্তি করে না। এখন আবু তালেবের ওয়ারিশরা তাদের জায়গা আছে বলে দাবি করেছে। আজমতের অসুস্থতাসহ বিভিন্ন মানবিক কারণে আমরা প্রথমে কিছু টাকা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেই। কিন্তু এভাবে টাকা দিলে আইনি জটিলতায় পড়তে হবে বলে আইনজীবীরা আমাদের জানানোয় সে পথে আমরা যাই নি।’
এ ব্যাপারে চাতলপাড় পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক রঞ্জন কুমার ঘোষ বলেন, ‘আমাদের কাছে আদালত থেকে এ সংক্রান্ত কাগজ আসার পর শান্তিশৃংখলা রক্ষায় দুই পক্ষকেই ডেকেছিলাম। পরে তাদের মধ্যে আলোচনায় জমি দাবিকারিকে কিছু টাকা দেয়ার কথা বলা হলেও পরে কেন দেয় নি জানি না।