স্টাফ রিপোর্টার,
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জলাশয় ‘গিলে খাচ্ছে’ দখলবাজরা। সারাদেশের ন্যায় গতকাল সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়ও নদী, খাল ও জলাশয় দখল করে অবৈধভাবে নির্মিত স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযানে নেমেছে জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড।
অভিযানের প্রথম দিন সোমবার দুপুরে আখাউড়া উপজেলার ষোললৌহঘর এলাকার বিজনা নদীতে অভিযান চালিয়ে ছয়টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। তালিকা ধরে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওয়েব সাইটে প্রকাশিত তালিকা থেকে জানা যায়, জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ৪৬ জন, আশুগঞ্জ উপজেলায় ৭২ জন, সদর উপজেলায় ১৮৭ জন, নবীনগর উপজেলায় ২২ জন, কসবা উপজেলায় ১৪২ জন, বিজয়নগর উপজেলায় ৪৪ জন, সরাইল উপজেলায় ১২১ জন ও আখাউড়া উপজেলায় ৩০ জন দখলদার নদী, খালসহ বিভিন্ন জলাশয় দখল করে রেখেছেন। তবে নাসিরনগর উপজেলার দখলদারদের কোনো তালিকা নেই।
চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওয়েব সাইটে দখলবাজদের তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়, বিভিন্ন জলাশয় দখল করে পাকা ও আধা পাকা স্থাপনা, সীমানা প্রাচীর, বাথরুম, মাটি ভরাট করে রাখা হয়েছে। ওই তালিকা অনুযায়ি জলাশয় দখলকারির সংখ্যা প্রায় সাড়ে ছয়শ।
সোমবার দিনব্যাপী আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের ষোললৌহঘর এলাকার বিজনা নদী দখল করে অবৈধভাবে নির্মিত ছয়টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
পানি সম্পদ মন্ত্রলালয়ের নির্দেশনায় জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে বাড়ি ও দোকানসহ ছয়টি স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ১৮৭ জন জলাশয় দখলদার রয়েছেন। পৌর এলাকায় কান্দিপাড়া, পৈরতলা ও পশ্চিম মেড্ডার খাল দখলকারি নাম আছে জেলা প্রশাসনের ওই তালিকায়। এছাড়া সদর উপজেলার বরিশল খাল, মজলিশপুর, মৈন্দ, বিরামপুর, চিনাইর, মাছিহাতা. খেওয়াই, জগৎসার, চাপুইর এলাকায় খাল ও ডোবা দখল করে রাখা হয়েছে।
এ ব্যাপারে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আক্তার রেইনা বলেন, ‘সারাদেশে একযোগে নদী, খাল থেকে উচ্ছেদ অভিযানের অংশ হিসেবে সোমবার বিজনা-পার্ট ১ এ অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযান চলাকালে ছয়টি অবৈধস্থাপনা ভেঙ্গে ফেলা হয়।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান বলেন, ‘দখলদারদের তালিকা করা হয়েছে। ওই তালিকা অনুযায়ি উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে। এটা কোনো বিচ্ছিন্ন অভিযান নয়। যেভাবেই হোক নদী, খালে থাকা অবৈধ দখলদারকে উচ্ছেদ করা হবে।