Advertisement

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্ত্রীর মামলায় পুলিশ স্বামী জেলহাজতে

NewsBrahmanbaria

এই আর্টিকেল টি ১২১২।

স্টাফ রিপোর্টার:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দ্বিতীয় স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় জেলহাজতে গেলেন পুলিশ পরিদর্শক মোঃ সালাউদ্দিন। আদালতের সমন পেয়ে রোববার দুপুরে সালাউদ্দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আনোয়ার ছাদাত এর আদালতে আত্ম সমর্পন করে জামিন প্রার্থনা করলে বিজ্ঞ আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত ১ ডিসেম্বর দুপুরে স্বামী সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে তার দ্বিতীয় স্ত্রী তাহমিনা আক্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনের ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত সালাউদ্দিনকে ১৫ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেন।

মোঃ সালাউদ্দিন কুমিল্লার কতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত ১ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে মামলা হলে পরদিন তাকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়। গতকাল রোববার সালাহউদ্দিন আদালতে হাজির হলে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরনের নির্দেশ দেন।

মামলার এজহার সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার পশ্চিম মেড্ডার মরহুম শরাফ উদ্দিনের মেয়ে তাহমিনা আক্তারের সাথে চট্টগ্রামের হাটহাজারীর উত্তর মাদরাসা এলাকার সামসুল আলমের ছেলে সালাউদ্দিনের ১৫লাখ টাকা দেনমোহর নির্ধারণ করে বিয়ে হয়।

বিয়ের পর তাহমিনা একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। তার বয়স তিন বছর। গত তিন-চার মাস আগে তাহমিনার কাছে ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন স্বামী সালাউদ্দিন।

গত ১৫ নভেম্বর সালাউদ্দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এসে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের সামনে পুলিশের চাকুরিতে পদোন্নতির কথা বলে পুনরায় ২০লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। তাহমিনা টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় তাহমিনাকে মারধর করেন সালাউদ্দিন। পরে স্ত্রী ও সন্তানকে ফেলে রেখে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান। বিষয়টি কুমিল্লার পুলিশ সুপারকে জানিয়েও কোনো বিচার পাননি তাহমিনা। পরে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন।

এ ব্যাপারে মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত জানান, একটি কাজের সূত্র ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার পশ্চিম মেড্ডার শরাফ উদ্দিনের মেয়ে তাহমিনা আক্তারের সাথে ২০১৪ সালে বিয়ে হয় সালাউদ্দিনের। মাস চারেক আগে ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন সালাউদ্দিন। অপরাগতা প্রকাশ করায় তাকে মারধরও করা হয়। এ অবস্থায় প্রতিকার না পেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন তাহমিনা আক্তার।

Advertisement

Sorry, no post hare.

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com