স্টাফ রিপোর্টার,
প্রায় সাত বছর ধরেই চলছে এ রীতি- উৎসবের জন্য পিঠা বানাতে চাল আলাদা করে রাখতে হবে। এবারও তাই হলো। আলাদা করে রাখা চালে বানানো হলো পিঠা। এক এক করে সংখ্যায় হলো ১৫৭! কি সব বাহারি নাম- হৃদয় হরণ পিঠা, লাভ পিঠা, চল পিঠা, পদ্মফুল পিঠা, মুক্তা পিঠা, বকফুল পিঠা ইত্যাদি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার সোহাতা গ্রামের গুঞ্জন পাঠাগারের টেবিল ও দোতলায় উঠার সিঁড়িতে বিশেষ থালায় করে রাখা হয় এসব পিঠা। অনুষ্ঠানের নাম দেয়া হয় পিঠা উৎসব। পৌর এলাকার সোহাতা, ভেলানগর, আলমনগর, শ্যামগ্রাম, ভোলাচং, কালঘরা, শ্রীরামপুর, দোলাবাড়ি গ্রামের পাঠাগারের নিয়মিত পাঠকরা এসব পিঠা নিয়ে আসে এ উৎসবে।
বুধবার বিকেলে পাঠাগারে আয়োজিত এ উৎসবের উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. মো. শাহ আলম। পাঠাগারের উদ্যোক্তা হাবিবুর রহমান স্বপনের মা রাবিয়া খাতুনের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন নবীনগর পৌরসভার মেয়র শিব শংকর দাস। নবীনগর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ কান্তি কুমার ভট্টাচার্য প্রধান বক্তা ও কালের কণ্ঠের ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি বিশ্বজিৎ পাল বাবু এতে বিশেষ বক্তার বক্তব্য রাখেন। ডা. মো. শাহ আলম পাঠাগারের বই কেনার জন্য ২০ হাজার টাকা দেন।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নানা প্রতিকুলতার মধ্যেও স্বপন এ
পাঠাগারটিকে আগলে রেখেছেন। এলাকারসহ প্রবাসীদের সহযোগিতায় পাঠাগারটি এখন দালান ঘরে পরিণত হয়েছে। গত সাত বছর ধরে পাঠাগারে নিয়মিত পিঠা উৎসব হয়। এলাকার লোকজন ধান উঠার পরপরই পাঠাগারের পিঠা বানানোর জন্য আলাদা করে চাল রেখে দেন।