ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
যাবেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থেকে চট্টগ্রাম। আসন না পাওয়ায় বেশি দামে কাটলেন ঢাকা থেকে যাওয়ার চট্টগ্রামের টিকিট। সময় মেনেই ট্রেন এলো। খোঁজে পেলেন টিকিটের গায়ে লেখা বগি। তবে বগিতে উঠেন চোখ ‘ছানাবড়া’। একি টিকিটের গায়ে লেখা আসনই যে নেই!
বগি থাকলেও আসন না থাকার এ ঘটনাটি ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনের। শিব লব চৌধুরী ও রতœা চৌধুরী নামে দুই যাত্রী এমন সমস্যার খেসারত দিয়েছেন। নির্ধারিত বগিতে আসন না পেয়ে অন্য বগিতে চড়ে তাঁরা চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন।
ওই দুই যাত্রীর স্বজন আখাউড়া পৌর এলাকার রাধানগরের বাসুদেব বিশ্বাস ফেলু কালের কণ্ঠকে জানান, সোমবার দুপুর ২টা ১৯ মিনিটে তিনি আখাউড়ার কাউন্টার থেকে চট্টলা একপ্রেস ট্রেনের দুইটি টিকিট কাটেন। টিকিটের গায়ে ‘ঙ’ বগির ৬৭ ও ৬৮ নম্বর আসন লেখা। ট্রেনটি নির্ধারিত সময়েই আখাউড়া আসে। ‘ঙ’ বগিতে উঠার পর দেখতে পান ওই দুইটি আসন নেই। ৬০ নম্বর পর্যন্ত ওই বগির আসন নির্ধারিত। বাধ্য হয়ে স্বজনদেরকে অন্য বগিতে উঠিয়ে দেন। পরে তিনি টিকিট কাউন্টারে গিয়ে সংশ্লিষ্টদের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলেও এ বিষয়ে কোনো সুরাহা পান নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কাউন্টারে কর্মরত এক ব্যক্তি জানান, কম্পিউটারে টিকিট কাটা হয়েছে। এক্ষেত্রে নিজ থেকে কিছুই করার নেই। কম্পিউটারে আসন দেয়া ছিলো বলেই টিকিট প্রিন্ট হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ‘ঙ’ এর জন্য যে বগি নির্ধারণ করা ছিলো সেটা হয়তো লাগানো হয় নি। এক্ষেত্রে কম্পিউটারে আগের বগির নম্বরই দেয়া ছিলো।