স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে পুলিশসহ উভয়পক্ষের ১৫জন আহত হয়েছে। শনিবার সকালে উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের বুল্লা গ্রামে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ব্যাপক লাঠিপেটা ও অর্ধশতাধিক রাউন্ড ফাঁকা রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের বুল্লা গ্রামের হুগলি বিল জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে ইজারা নেয় বড় উঠান মৎস্যজীবি সংগঠন। গত কয়েকদিন আগে বড় উঠান মৎস্যজীবি সংগঠনের সদস্যরা বুল্লা গ্রামের সাবেক মেম্বার ফুল মিয়া ও তার ছেলে বর্তমান মেম্বার কাউছার মিয়ার কাছে বিলটি মৌখিক ভাবে সাব-ইজারা দেয়। ইজারা নিয়ে ফুল মিয়া ও কাউছার মিয়ার লোকজন বিলের পাশের পাইকপাড়া, হাজিপুর, হাতুরিপাড়া গ্রামের জমিতে বাঁধ নির্মান করলে পাইকপাড়া গ্রামের কাসেম মেম্বার ও রাজু সরদারের নেতৃত্বে লোকেরা তাদেরকে বাঁধা দেয়। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
শনিবার সকাল ১০টার দিকে সাবেক মেম্বার ফুল মিয়া ও কাউছার মেম্বারের লোকজন বুল্লা গ্রামের মসজিদের মাইকে পাইকপাড়া গ্রামে হামলা করার ঘোষনা দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছলে উত্তেজিত জনতা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। এতে ৩ পুলিশসহ উভয়পক্ষের ১৫ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে এ.এস.আই. মোশারফ হোসেন, এ.এস.আই. ওয়াদুদ ও পুলিশ সদস্য সাইফুলসহ অন্যান্য আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়জুল আজিম নোমান বলেন, সাবেক মেম্বার ফুল মিয়া ও তার ছেলে কাউছার মেম্বারের লোকজন অবৈধভাবে বিল দখল করতে কয়েকদিন ধরে এলাকায় ঝগড়া-ফ্যাসাদ সৃস্টি করে আসছে। এনিয়ে উভয় পক্ষের সাথে আলোচনা করে মিমাংসার চেষ্টাও চলছিল। কিন্তু কাউছার মেম্বারের লোকজন গতকাল হামলা করে। পুলিশ ৫০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। তিনি তিন পুলিশ সদস্য হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন।