এনবি ডেস্ক:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌরসভার মেয়র ও যুবলীগ নেতা তাকজিল খলিফা কাজলকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় তার সমর্থকরা দৈনিক মানবজমিনের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিজস্ব প্রতিবেদক ইন্ডিপ্যানডেন্ট টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি জাবেদ রহিম বিজনকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, হত্যার পর মামলা চালানোর জন্য দেড় কোটি টাকা বাজেট করার কথাও ফেসবুকে পোস্ট করেছেন তারা।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) রাতে ‘কাজল ভাইয়ের সমর্থক’ নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে এই পোস্ট দেয়া হয়। এতে সাংবাদিক বিজনের হাতের মূল্য এক কোটি ও পায়ের মূল্য ৫০ লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়। অন্য আরেকটি পোস্টে ‘বিজনকে যেখানে পাবে-তাকে সাইজ যে করতে পারবে তাকে পুরস্কৃত করা হবে’ এই ঘোষণাও দেয়া হয়।
এর আগে গত শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) ‘আখাউড়ায় খলিফা সাম্রাজ্য’ শিরোনামে মানবজমিন পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। ওই সংবাদে মেয়র ও যুবলীগ নেতা তাকজিল খলিফা কাজলের নানা ‘অপকর্ম’ তুলে ধরা হয়। সংবাদে কাজল ছাড়াও তার ভাই-ভাতিজাদের ‘অপকর্মের’ কথাও উঠে আসে। এ কারণে ওইদিন আখাউড়ায় মানবজমিন পত্রিকার কয়েকশ কপি ছিনতাই করে কাজলের বাড়িতে নিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়। উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি শাহাবুদ্দিন বেগ শাপলু ছাড়াও কাজলের ভাতিজা রানা খলিফা পত্রিকা ছিনতাই ও পোড়ানোর নেতৃত্ব দেন। এছাড়া সাংবাদিক বিজনের দৃষ্টান্তমূলক বিচার এবং মানবজমিন পত্রিকা আখাউড়ায় অবাঞ্ছিত লিখে যুবলীগের নামে একটি পোস্ট দেন কাজলের ছোট ভাই নেছার আহমেদ খলিফা।
উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি শাহাবুদ্দিন বেগ শাপলু, সহ-সভাপতি সৈয়দ যুবরাজ শাহ রাসেল, সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন নয়ন, পৌর যুবলীগ সভাপতি মো. মনির খান প্রমুখ নামের ফেসবুক আইডি থেকে হুমকি দিয়ে পোস্ট দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন সাংবাদিক বিজন।
এ ব্যাপারে তিনি বলেন, যুবলীগ নেতা ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের কাছে অসহায় আখাউড়ার মানুষ। সেই চিত্রই তুলে ধরা হয়েছে সংবাদে, যা ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়। তবে এই সংবাদে দুর্বৃত্তদের মাথায় বাজ পড়েছে। তাই তারা এসব করছে।
হুমকির ব্যাপারে জানতে চাইলে আখাউড়া পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল বলেন, তার কোনো ফেসবুক আইডি নেই, একটি লাইক পেজ আছে। ফেইক আইডি থেকে কাউকে দিয়ে এটি করানো হয়েছে। ওই আইডির বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।