এনবি ডেস্ক:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর পল্লী বিদ্যুতের অফিসে গ্রাহকের মিটারের গ্রাহক জামানত রশিদ জালিয়াতি করার অভিযোগে মেহের আলী(৩৫) নামে এক ব্যক্তিকে কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বুধবার বিকালে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ও নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট আজগর আলী এই দন্ডাদেশ দেন। এর আগে দুপুরে নাসিরনগর পল্লী বিদ্যুতের সাব-জোনাল অফিসে গ্রাহকের মিটারের গ্রাহক জামানত রশিদ জালিয়াতি করার সময় পল্লী বিদ্যুতের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। সাজাপ্রাপ্ত মেহের আলী নাসিরনগর উপজেলার ধরমন্ডল ইউনিয়নের দেওরত গ্রামের আবদুল কাইয়ুমের ছেলে।
পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা যায়,ধরমন্ডল ইউনিয়নের দেওরত গ্রামের মাহফুজ মিয়া ২০১৮ সালের ৪ জুন নতুন মিটারের জন্য গ্রাহক জামানত রশিদ জমা দেন। এর প্রেক্ষিতে তার নামে মিটার বরাদ্দ দেয়া হয়। বর্তমানে মাহফুজ মিয়া নিয়মিত বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করে আসছে। কিন্তু প্রতারক মেহের আলী দেওরত গ্রামের মাহফুজ মিয়ার গ্রাহক জামানত রশিদের নামটি ফ্লুইড দিয়ে মুছে চলতি বছরের ২৪ জুন মাসের তারিখে একই গ্রাহক জামানত রশিদ দিয়ে মফিজুল ইসলামের নামে নতুন মিটার গ্রাহক জামানত রশিদ জমা দেন।এতে পল্লীতের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সন্দেহ হলে গ্রাহক জামানত রশিদের মূল রশিদ যাচাই করে দেখেন নতুন গ্রাহক জামানত রশিদটি ভূয়া। পরে তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করলে মেহের আলীকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন।
পল্লী বিদ্যুৎ সাব-জোনাল অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (নিপুর) হিমেল কুমার সাহা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান আটক মেহের আলী একজন প্রতারক। সে প্রায় অফিসে এসে জামেলা করত। আজ তাকে গ্রাহক জামানত রশিদ জালিয়াতি করার অভিযোগে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।