স্টাফ রিপোর্টার,
পদ্মা সেতুর জন্য মানুষের মাথা ও রক্ত লাগবে- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ছড়ানো এমন গুজবে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনির ঘটনায় হতাহতের ঘটনা এবং রাজধানীর উত্তর বাড্ডা এলাকার একটি স্কুলে সন্তানের ভর্তির খোঁজ নিতে গিয়ে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে তাসলিমা বেগম রেণু নিহতের ঘটনার প্রেক্ষিতে নড়েচরে বসেছে পুলিশ প্রশাসন।
গণপিটুনির ঘটনা প্রতিরোধে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার লক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা পুলিশের উদ্যোগে মাইকিং ও বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষার্থীদের নিয়ে সচেতনতামূলক সভা করছে পুলিশ।
গত মঙ্গলবার থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৯টি উপজেলায় একযোগে পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং শুরু হয়েছে। পাশাপাশি বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বেশ কয়েকটি স্কুল ও কলেজে জেলা পুলিশের উদ্যোগে সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা পুলিশের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পদ্মা সেতু দেশের একটি সর্ববৃহৎ উন্নয়ন প্রকল্প। এই প্রকল্পের সাথে দেশের ভাবমূর্তি জড়িত। একটি মহল এই উন্নয়ন কাজকে ব্যাহত করার জন্য মিথ্যা গুজব রটিয়ে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে, যা গুরুতর অপরাধ।
এ ধরণের গুজব ছড়িয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করা এবং গণপিটুনি দিয়ে মানুষকে হত্যা করা ফৌজদারি অপরাধ। বিজ্ঞপ্তিতে গুজবে কান না দিয়ে কাউকে ছেলে ধরা হিসেবে সন্দেহ হলে গণপিটুনি না দিয়ে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দিতে বলা হয়।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, বুধবারও ব্রাহ্মণবাড়িয়া অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়সহ ৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পুলিশের উদ্যোগে মাইকিং চলছে। তিনি বলেন, এই কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে।