Advertisement

মহিলা আওয়ামীলীগ নেত্রীর বিরুদ্ধে বিএনপি নেতাকে হয়রানির অভিযোগ

NewsBrahmanbaria

এই আর্টিকেল টি ২৯।

নিউজ ডেস্ক,

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ ইলিয়াস ও তার ছোট ভাই জাহাঙ্গীর আলম মহিলা আওয়ামীলীগ নেত্রীর হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন।
রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তাদেরকে এই হয়রানি করা হচ্ছে বলে রোববার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন।

এর আগে গত ৫ ই ডিসেম্বও সাংবাদিক সম্মেলন করে ইলিয়াস ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে আওয়ামীলীগ নেত্রী সাঈদা সুলতানা সুপ্রিয়া তার স্বামীর জায়গা দখলের অভিযোগ করেন।

পাল্টা সাংবাদিক সম্মেলন করে মোঃ ইলিয়াস ও জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তাদেরকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্যেই সুপ্রিয়া উদ্দেশ্যেমূলক সাংবাদিক সম্মেলন কওে মিথ্যা বক্তব্য তুলে ধরেছেন।

মোঃ জাহাঙ্গীর আলম তার লিখিত বক্তব্যে জানান-সাঈদা সুলতানা সুপ্রিয়ার আপন শ্বাশুরী, ৫ ননদ, চাচা শ্বশুর ও চাচা শ্বশুরের ওয়ারিশগণের কাছ থেকে তিনি খরিদা সূত্রে সাফ কবলা দলিল মুলে ২ একর ১৭ শতাংশ ৩৭ পয়েন্ট জায়গার মালিক হয়েছেন। এরপর থেকে ১৪ বছর ধরে ওই জায়গার ভোগ দখল করছেন। সেখানে ঘর এবং দোকান ঘর নির্মান করা ছাড়াও পুকুরে মৎস চাষ করছেন এবং সরকারকে নিয়মিত খাজনাদি পরিশোধ করছেন। ফলে সাঈদা সুলতানা সুপ্রিয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা,
বানোয়াট ও উদ্দেশ্যে প্রণোদিত। তারা অভিযোগ করেন সাঈদা সুলতানা সুপ্রিয়া আওয়ামীলীগ শাসনামলে সাবেক আইনমন্ত্রী, উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র ও আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দকে দিয়ে কসবা উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ ইলিয়াস ও তার পরিবারের সদস্যদের মিথ্যা মামলা দিয়ে দীর্ঘদিন বাড়ি ঘর ছাড়া করে রাখেন। সাঈদা সুলতানা সুপ্রিয়া গত ৭ই আগষ্টের পর থেকে আমাদের অত্যাচারে বশত বাড়িতে থাকতে পারেননা বলেও মিথ্যা বক্তব্য দিয়েছেন। কারণ তার বশত বাড়ির বিল্ডিং দীর্ঘদিন ধরে সহকারী পুলিশ সুপার এর কার্যালয় হিসাবে ভাড়া দেয়া রয়েছে।

মুহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, আমি কসবা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি, কসবা সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান, কসবা পৌরসভার প্রশাসক ও নির্বাচিত মেয়র ছিলাম। আমার প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী ছিলেন সাঈদা সুলতানা সুপ্রিয়ার আপন বড় মামা মোঃ মোশারফ হোসেন ইকবাল।

গত ১৯৯৭ ইং সালে কসবা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ২০১১ সালের কসবা পৌরসভার মেয়র পদে আমার নিকট বিপুল ভোটে তিনি পরাজিত হন। তারই আক্রোশে এবং আগামী নির্বাচন কে সামনে রেখে তার আপন বোনের মেয়ে সাঈদা সুলতানা সুপ্রিয়া কে দিয়ে পরিকল্পিত ভাবে আমাকে সমাজে ও রাজনৈতিক ভাবে হেয় করতে সাংবাদিক সম্মেলন করে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়।

তাছাড়া সাঈদা সুলতানা সুপ্রিয়া যে জমি নিয়ে অভিযোগ করেছেন তা নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। এই অবস্থায় কোন পক্ষ সংবাদ সম্মেলন করতে পারেনা। আমাদের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন করার সময় সাঈদা সুলতানা সুপ্রিয়া অনুমতি ব্যতিত আমার ছবি দিয়ে ব্যানার করেছেন এবং সাংবাদিক সম্মেলনে যে কুৎসিৎ ভাষায় মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্যে প্রণোদিত বক্তব্য রেখেছেন এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

 

Advertisement

Sorry, no post hare.

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com