স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে ড্রেনেজ ব্যবস্থা দূর্বল হওয়ার কারণে সামান্য বৃষ্টি হলেই মাত্র ১৮ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই শহরটিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এসময় ময়লা-আবর্জনার সঙ্গে বৃষ্টির পানি মিশে যাওয়ার কারণে নাগরিকদের ভোগান্তিতে নতুন মাত্রা যোগ হয়।
অপরিকল্পতিভাবে শহরে বাড়ি-ঘর তৈরি, খাল, পুকুর ও জলাশয় ভরাট, খুচরা ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের যত্র-তত্র বর্জ্য ফেলা, পৌর কর্তৃপক্ষ ড্রেন ও রাস্তাঘাট পরিষ্কার ও সংস্কার না করা এবং সর্বোপরি পৌর নাগরিকদের অসচেতনতাই এ জলাবদ্ধতার জন্য দায়ি বলে মনে করেন সচেতন মহল।
তারা বলছেন, পৌর কর্তৃপক্ষের উচিত জলাবদ্ধতা নিরসনে বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার ড্রেন ও রাস্তাঘাটগুলো দ্রুত সংস্কার করা।
শহরের বণিক পাড়ার বাসিন্দা বিজয় সাহা বলেন, এই পৌরসভাটি ১৮৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত। ১৫০ বছরের পুরনো এই পৌরসভার সবগুলো ড্রেন পরিস্কার কিংবা এগুলোকে সংস্কারের কোন সুদুরপ্রসারী পরিকল্পনা পৌর কর্তৃপক্ষের আছে বলে মনে হয় না। তারা কেবল সড়কের উপরাংশের ময়লা পরিস্কার নিয়েই ব্যস্ত। বৃষ্টির পানি নির্গমনের কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না বলে জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যত কোন কিছুই হচ্ছে না।
শহরের কলেজ পাড়ার বাসিন্দা অভি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ঘেঁষা সড়ক দিয়ে শহরের বিভিন্ন এলাকার মানুষ চলাচল করে। কলেজসহ একাধিক ছোট-বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ঘনবসতি হওয়ার কারণে বেশীরভাগ শিক্ষার্থীরা এ পাড়া থেকে বের হয়। গত শুক্রবার ও শনিবার দু’দিনের বৃষ্টিতে হাঁটু পরিমাণ পানি হয়েছে। এ কারণে যাদের বাসা-বাড়ি নিচু, তারা অনেকেই ঘর থেকে বের হতে পারছেন না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী নিকাশ চন্দ্র মিত্র পৌরসভাধীন বিভিন্ন মহল্লার রাস্তা ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা বেহাল স্বীকার করে বলেন, এসব বাস্তবায়নের জন্য আমরা বসে আছি। এগুলো রাতারাতি সংস্কার করা সম্ভব নয়। সংস্কারের জন্য পৌরসভার ফান্ড থাকতে হবে। তবে এগুলো সংস্কারের জন্য কোন প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা যায় কি না তা তারা দেখবেন বলে জানান তিনি।