নিউজ ডেস্ক,
নিহতের নাম তানজিল মিয়া (২৫)। তানজিল পাশ্ববর্তী নবীনগর উপজেলার কাইতলা গ্রামের মৃত আনিসুর রহমনা জুয়েল মিয়ার ছেলে। এসময় গুরুতর আহত অপর দুই আরোহীকে গুরুতর অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহতরা হলো কসবা উপজেলার পৌর এলাকার আড়াইবাড়ী গ্রামের খোরশেদ মিয়ার ছেলে অলি মিয়া (২৫) ও একই গ্রামের বিল্লাল মিয়ার ছেলে খাইরুল ইসলাম ওরফে শাওন (২৫) ।
পরিবার জানায়, তানজিল মিয়া দুবাই প্রবাসী। এক মাস আগে ছুটিতে দেশে এসে বিয়ে করেন। আহত অলি মিয়া আগামী ১ জুন সৌদিআরবে যাওয়ার কথা। খাইরুল ইসলাম শাওন ব্যবসা করেন।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, তানজিল মিয়া, অলি মিয়া ও খাইরুল ইসলাম ওরফে শাওন এরা তিনবন্ধু। মঙ্গলবার বিকালে একটি মোটর সাইকেল নিয়ে তিনজনই ঘুরতে বের হয়েছিলেন। তারা গোপীনাথপুর ইউনিয়নের বাগানবাড়ি এলাকায় গিয়েছিলেন। রাত আটটার দিকে ফেরার পথে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের কসবা উপজেলার নোয়াপাড়া রেল ক্রসিংয়ে ট্রেন আসছে দেখেও দ্রুত পাড় হওয়ার সময় চট্টগ্রামগামী চট্টলা ট্রেনের সাথে সজোরে ধাক্কা লাগে। তিনজনই মাথায় শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত হয়।
আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে মোটর সাইকেল চালক তানজিল মিয়া মারা যায়। অপরদুইজন গুরুতর আহত হয়। স্থানীয় লোকজন দেখতে পেয়ে তিনজনকেই উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তানজিল মিয়াকে মৃত ঘোষনা করেন। আহত দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে গুরুতর অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. আজিজ আল মান্না বলেন, ট্রেনের ধাক্কায় তিনজনই মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরনে তানজিল মিয়া হাসপাতালে আনার আগেই মারা যায়। আহতদেরকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আখাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম উদ্দিন খন্দকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ট্রেনের ধাক্কায় একজন মারা গেছে। দুইজন গুরুতর আহত হয়েছে।