বিশেষ প্রতিনিধিঃ
গত ৫জুন ঈদের নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় অতর্কিত হামলার শিকার হয়ে মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করছে মাছিহাতা ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর ভূইয়া। এনিয়ে সদর মডেল থানায় ৭ জুন বড় ভাই আবু কাইয়ুম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১৯জনকে আসামী করা হয়। মামলার ১৯জন আসামী কোর্টে জামিনের আবেদন করলে আদালত ১৫জনের জামিন মঞ্জুর করে বাকী ৪ জনের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরন করে। জামিনে বের হওয়া আসামীরা বাদীর বাড়ীতে এসে মামলা তুলে নিতে চাপ প্রয়োগ করছে।
এ মামলার বাদী আবু কাউয়ুম অভিযোগ করে বলেন, আমার ভাই জাহাঙ্গীর মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। গত ২৪জুন সদর হসপিটালে আরেকটি অপারেশন করা হয়। তার অবস্থা দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। আসামীরা জামিনে এসে বাড়ীর মহিলাদের নানা ভাবে চাপ প্রয়োগ ও হুমকি প্রদান করছে মামলা তুলে নিতে।
এ বিষয়ে মাছিহাতা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ এর সভাপতি মোঃ কামরুল চৌধুরী লিটন বলেন, জাহাঙ্গীর ঈদের নামাজের দিন নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় অতর্কিত এ হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এমন নেক্কার জনক কাজের কঠোর শাস্তিা হওয়া দরকার।
ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সোলমান মেম্বার বলেন, জাহাঙ্গীর মাছিহাতা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তার উপর এ বর্বোরচিত হামলার পর সে এখন সদর হসপিটালে ভর্তি আছে। তার উপর হামলাকারীদের কঠোর বিচার হউক আমি চাই। এ বিষয়ে আমাদের জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সদর ৩ আসনের সংসদ সদস্য র, আ, ম, উবায়দুল মোকতাদির চোধূরী মহোদয়কে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পাঘাচং চানপুর গ্রামের ফরহাদ মিয়ার গোষ্ঠীর সাথে ও জাহাঙ্গীরের গোষ্ঠীর লোকজনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে আখাউড়া রেলওয়ে জি আরপি ফাঁিড়তে একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং ৪০/১৯। মামলা করার পর থেকেই ফরহাদ মিয়ার গোষ্ঠির লোকজন বিভিন্ন সময় হুমকি দিয়ে আসছে। এরই জের ধরে গত ৫জুন ঈদের দিন নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় মাছিহাতা ইউনয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর ভূইয়াকে পাঘাচং রেলওয়ে স্টেশনের পাশে অতর্কিত হামলা করে। হামলায় জাহাঙ্গীরের শরীলে ৭টি চুরিকাঘাত করে। এবং শরীলে বিভিন্ন অংশে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করে।