Advertisement

বরিশাল-৫ আসনের গণমানুষের অভিভাবক সালাউদ্দিন রিপন

NewsBrahmanbaria

এই আর্টিকেল টি ১৮৪।

নিউজ ডেস্ক,

বরিশাল সদর আসনের নারী, পুরুষ, যুবক, বৃদ্ধা সবার মুখে মুখে রিপন ভাই রিপন ভাই। রিপন এখলাকায় আসার খবরে হাজার হাজার নারী পুরুষের পদচারণায় সমাবেশের মত হয়ে উঠে । কেনই বা হবে না, তিনি যে কারোর জন্য অন্ধত্বের আলো, বিবাহদানে অসহায় বোনের অবিভাবক, এতিম, অস্বচ্ছল পরিবার, বিধবা ও বয়স্কদের সাহায্যদাতা। মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা বৃত্তির পাশাপাশি অর্থের অভাবে পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ব্যবস্থা করে দেয়া যার একমাত্র উদ্দেশ্য।

তিনি বরিশাল সদর উপজেলার (বরিশাল-৫) গণ মানুষের নেতা, অভিভাবক ও আশ্রয়ের শেষ স্থল সালাউদ্দিন রিপন। যিনি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আওয়ামীলীগ পরিবারের সন্তান সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সালাহউদ্দিন রিপন ছোট বেলা থেকেই পারিবারিক আদর্শে অসহায়দের সাহায্য বাড়িয়ে দিয়েছেন।  কিশোর বয়স থেকেই রিপন এলাকার অসহায়দের বিপদে আপদে নানা ভাবে এগিয়ে যেতো। শিক্ষা জীবন থেকেই মনে বাসনা ছিল আল্লাহ সুযোগ দিলে অসহায়দের পাশে থাকবে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত। যেমন উদ্দেশ্য ছিল তেমনইভাবে অসহায়দের জন্য করে যাচ্ছেন সালাউদ্দিন রিপন।

এমনকি অসহায় ও এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে গড়ে তোলেন এসআর সমাজ কল্যান সংস্থা। ইতোমধ্যেই প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে নারীদের নিয়ে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট ও পুরুষদের নিয়ে ১১ সদস্য বিশিষ্ট শক্তিশালী স্বেচ্ছাসেবী কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটি পর্যায়ক্রমে সুবিধা বঞ্চিতদের তালিকা তৈরি করে সংস্থায় জমা দেয়ার পর অলাভজনক ও অরাজনৈতিক সমাজ উন্নয়ন স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান সরেজমিন পরিদর্শন করে পর্যাপ্ত পরিমাণ সহযোগীতা করেন। এভাবেই একযুগে সদর উপজেলার দুঃস্থ পরিবারের ১২ হাজার নারী আজ পুরোপুরি স্বাবলম্ভী হয়েছেন।

সালাউদ্দিন রিপন এখন পর্যন্ত ১ লাখ পরিবারের মাঝে নানাভাবে সহায়তা প্রদান করেছেন। এর মধ্যে ৯০ শতাংশই হচ্ছে নারী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীদের অগ্রাধীকার দিয়ে উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বরিশাল সদর উপজেলার দারিদ্র নারীদের ভাগ্য উন্নয়নে এগিয়ে এসেছে ব্যক্তি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত স্বেচ্ছাসেবী এস.আর সমাজকল্যাণ সংস্থা। মাত্র একযুগের মধ্যে সদর উপজেলার ১০ ইউনিয়নের ৯০টি ওয়ার্ডের দুঃস্থ নারীদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের (অফেরতযোগ্য) মাধ্যমে গবাদী পশুসহ হাঁস ও মুরগী পালন এবং পুরুষরা কৃষি জমি রোপনের মধ্য দিয়ে এখন পুরোপুরি স্বাবলম্ভী হয়েছেন। পাশাপাশি এসব এলাকার দারিদ্র পরিবারের মেধাবী সন্তানের লেখাপড়ার খরচ-পরীক্ষার ফি প্রদান, প্রাকৃতিক দূর্যোগে সহযোগীতা, বিধবা, কন্যাদায়গ্রস্থ পিতা এবং গুরুতর অসুস্থদের চিকিৎসায় সবধরণের সহায়তা প্রদান করে অসহায় মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন মোঃ সালাহউদ্দিন রিপন।

অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক, সরকারী চাকরীজীবীসহ এ সংস্থায় অসংখ্য স্বেচ্ছাসেবী কর্র্মরত রয়েছেন। বর্তমানে এ সংস্থাটি সদর উপজেলার চাহিদা পূরন করে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের বর্ধিত অংশে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। আওয়ামীলীগ পরিবারের সন্তান সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সালাহউদ্দিন রিপন এ কার্যক্রম পরিচালনার সাথে যুক্ত রেখেছেন সদর উপজেলার ১০ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য এবং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের।

পাশাপাশি সালাউদ্দিন রিপন যুক্ত রয়েছেন রাজনীতির সঙ্গেও। আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটির সদস্য হিসেবেও সততার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।

সালাউদ্দিন রিপনের বিষয়ে জানতে চাইলে টঙ্গিবাড়িয়া ইউনিয়নের সেতারা বেগম বলেন, আমার চার মেয়ে নিয়ে কত মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি অন্ধত্ব নিয়ে। বিগত ১৩ বছর যাবৎ আমি চোখে দেখিনা। যারা চোখে দেখে না তারাই জানে কেমন লাগে। মাঝে মাঝে বুকটা ফেটে যায় আমার সন্তানদের কথা চিন্তা করে। অসময়ে ছেলেটি মারা গেছে বলেই চোখ দিয়ে অঝরে পানি ঝরছে সেতারা বেগমের। আর দুহাত তুলে বলতে লাগলো আল্লাহ আমার মাতায় যত চুল আছে রিপনেরে তত নেক হায়াত দান করো। রিপন গরীবের মর্ম বেদনা বুঝে। তার ব্যবসায় বরকত দান করো। তার উছিলায় আমি আজ চোখে দেখতে পাইসি। সেতারা বেগম আরোও বলেন, শুধু চোখের অপারেশন করেন নি আমার পরিবারের দায়িত্বও নিয়েছেন তিনি। আমার মতো আরোও অনেক পরিবারের দায়িত্ব নিয়েছে রিপন। আমি এখন ভালো আছি।

চরবাড়িয়া ইউনিয়নের রেজাউল বলেন, আমার পরিবারে চার ভাইনের মধ্যে আমি বড়। আমার বাবা বৃদ্ধ হয়ে গেছে কৃষিকাজ আর করতে পারেনা। আমি ইন্টার পাশ। বেকার জীবন নিয়ে মানুষের জমিতে কৃষি কাজ করে সংসার চলত আমার। আজ থেকে ৭ বছর আগে রিপন ভাইয়ের সাথে দেখা হলে তিনি আমার খোঁজ খবর জানতে চান। আমার পরিবার সম্পর্কে জেনে মাথায় হাত বুলিয়ে শুধু বলেন আল্লাহ ভরসা। মাস খানেক পর আমাদের এলাকার শামীম ভাই এসে বলেন, তোমার সার্টিফিকেট গুলো নিয়ে ঢাকায় রিপন ভাইয়ের সাথে দেখা করো। মনটা আশায় ভরে গেলো। ঢাকায় উনার অফিসে গিয়ে দেখি আমার মত বেকার বরিশালের অনেক যুবক দাড়িয়ে আছে। সবাইকে চাকরীর ব্যবস্থা করে দেন রিপন ভাই। আমি এখন ভালো আছি।

সাধারণ মানুষেরা মনে করেন বরিশালে স্বাধীনতার পর অনেক ধন্যাঢ্য মানুষ দেখেছে কিন্তু রিপনের মত এমন উদার মানব কল্যানমুখী মানুষ আর দেখেননি। এমন মানুষ জনপ্রতিনিধি হলে সমাজের উন্নয়ন হবে। বদলাবে দারিদ্রের হার। নারীরা সমাজে পাবে তার ন্যায্য অধিকার। এমনকি কমবে বেকারত্বের হার। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি বরিশাল -৫ আসনে আওয়ামীলীগ থেকে সালাউদ্দিন রিপনকে নৌকার দায়িত্ব দেয় তাহলে এ আসনের জনগণ যোগ্য একজন জনপ্রতিনিধি পাবে।

এ বিষয়ে সালাউদ্দিন রিপনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি প্রতিবেদককে জানান, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-৫ আসন থেকে সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনি নির্বাচন করবেন।

Advertisement

Sorry, no post hare.

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com