নিউজ ডেস্ক,
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশনের মায়াজাল ফাঁদ ফেতে এক সৌদি প্রবাসীকে ব্ল্যাকমেইল করে তার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে সাবেক ছাত্রদল নেতা ফাইজুর রহমান ফয়েজের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) দিবাগত রাতে রাধুনি হোটেলে দুপক্ষের সমঝোতার একপর্যায়ে ফাইজুর রহমান ফয়েজ প্রেমিকার চাচাতো ভাই দাবি করে প্রেমিকের চাচা ও বোনের জামাইয়ের কাছ থেকে নগদ ৪ লাখ টাকা ও ৬ লাখ টাকার একটি চেক নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায়।
খোঁজ নিয়ে যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পুনিয়াউট নজরুল ইসলামের ছেলে ও সৌদি প্রবাসী তোরান খান (৩০) এর সাথে সদর উপজেলার তালশহর পূর্ব ইউনিয়নের অষ্টগ্রামের সেলিম মিয়ার মেয়ে তোফা আক্তার (২২) এর দীর্ঘদিন যাবত প্রেম চলছিল। মুঠোফোনে তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে৷ গত এক মাস আগে তোরান খান পারিবারিক ভাবে বিয়ে করার জন্য দেশে আসেন। গত বৃহস্পতিবার তোরান খানের গায়ে হলুদ ছিল। গায়ে হলুদ ও শুক্রবার বিয়ে কথা শুনে তোফা আক্তার বিয়ের দাবিতে তোরান খানের বাড়িতে গিয়ে অনশন করেন। এ বিষয়টি নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে জানাজানি হলে এদিন রাতেই দুপক্ষের লোকজন রাধুনি হোটেলে বসে বিষয়টি মিমাংসা করার চেষ্টা করেন। তোফা আক্তারের অনশন ফিরে এনে অন্যত্র অন্য জায়গায় বিয়ে দেওয়ার জন্য সাবেক ছাত্রদল নেতা ফাইজুর রহমান ফয়েজ ১০ লাখ টাকা দাবি করেন। তোরান খানের পরিবার তাদের আত্মসম্মানের কথা চিন্তা করে ফয়েজের হাতে নগত ৪ লাখ ও ৬লাখ চেক দিতে বাধ্য হন। তারপর থেকে ফয়েজে আর খোঁজ পাওয়া যায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান, প্রেমের ঘটনাটি সত্য কিন্তু অনশনের ঘটনাটি একটি সাজানো নাটক ছিল। ফাইজুর রহমান ফয়েজ তোফা আক্তারের পরিবারকে লোভ দেখিয়ে তোফা আক্তারকে অনশনে বাধ্য করেন। তোরন খানের পরিবারকে ব্ল্যাকমেইল করে ১০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন ফয়েজ যা ছিল সম্পূর্ণ অমানবিক।
এদিকে তোরান খানের পরিবারের সাথে একাধিকবার চেষ্টার পর যোগাযোগ করা যায়নি। কারন তারা বিষয়টি নিয়ে খুবই লজ্জিত ছিল, যে কারনে তারা এ বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চায়নি।
তবে এ ব্যাপারে সাবেক ছাত্রদল নেতা ফাইজুর রহমান ফয়েজ জানান, টাকা লেনদেনের কোন ঘটনা ঘটেনি৷ দু-পক্ষের লোকদের সাথে বসে বিষয়টি মীমাংসা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাৎ এর বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।