স্টাফ রিপোর্টার,
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ইভটিজিংয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে পুলিশসহ উভয় পক্ষের ২৫জন আহত হয়েছে। বুধবার সকালে উপজেলার সৈয়দটুলা গ্রামে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ব্যাপক লাঠিপেটার পাশাপাশি রাবার বুলেট ছুড়ে। তবে পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারে নি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সৈয়দটুলার বাবুল মিয়ার ছেলে মোয়াজ্জেম একই এলাকার আলেফ খাঁর স্কুল পড়–য়া কন্যাকে প্রায়ই উত্যক্ত করতো। বিষয়টি ওই স্কুলছাত্রী তার বাবাকে জানায়।
বুধবার সকালে স্কুলছাত্রীর বাবা বিষয়টি বাবুল মিয়াকে জানালে ক্ষিপ্ত হয় বখাটে মোয়াজ্জেম। এক পর্যায়ে মোয়াজ্জেম হামলা করে মেয়ের বাবা ও ভাইয়ের উপর। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে দুই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে ৮ পুলিশসহ উভয়পক্ষের ২৫জন আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ব্যাপক লাঠিপেটা এবং ৫৫ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
সংঘর্ষে আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, সরাইল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নূরুল হক, উপ-পরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম, কন্সটেবল নাজমুল, কন্সটেবল ইউসুফ, কন্সটেবল বেলাল, কন্সটেবল সুমন, কন্সটেবল রোকন, কন্সটেবল সাইফুল।
এ ব্যাপারে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মফিজ উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, ইভটিজিংয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষ হয়। এলাকার পরিস্থিত স্বাভাবিক আছে। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।