Advertisement

সরাইলে গভীর রাতে অবৈধ গ্যাস সংযোগ

NewsBrahmanbaria

এই আর্টিকেল টি ৯৮৬।

বিশেষ প্রতিনিধিঃব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের বিভিন্ন গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে চলছে অবৈধ গ্যাস সংযোগের বাণিজ্য। মোটা অংকের টাকার চুক্তিতে সরকারের এক শ্রেণির ঠিকাদার এই অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিচ্ছেন। গত শুক্রবার গভীর রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের নিজসরাইল গ্রামের হাবিব মিয়ার বাড়িতে দেওয়া হয়েছে অবৈধ গ্যাস সংযোগ। কোন অনুমতি না নিয়েই কেটে ফেলা হয় নিজসরাইল গ্রামের কার্পেন্টিং করা সড়ক। সংযোগ দিতে স্থানীয় প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করতে মোটা অংকের টাকা বিলিয়ে দেওয়ার বিষয়টি এখন চাউর হচ্ছে চারিদিকে।

সংশ্লিষ্ট দফতর সূত্র জানায়, সরকার গত প্রায় ৩-৪ বছর আগেই দেশের সকল আবাসিক সংযোগ স্থাপনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে দিয়েছেন। অর্থাৎ রান্নার কাজের জন্য গ্যাস লাইনের সংযোগ একেবারে বন্ধ। এমনকি এক এলাকার লাইন অন্য এলাকায় স্থানান্তরও করা যাবে না। কেউ এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে জেল ও জরিমানা দুটোই হতে পারে।

কিন্তু কিছু ঠিকাদার অর্থের লোভে জালজালিয়াতির মাধ্যমে সরাইলের বিভিন্ন জায়গায় গোপনে সংযোগ দিয়ে যাচ্ছেন। এ জাতীয় কিছু সংযোগ অভিযানের মাধ্যমে বিচ্ছিন্নও করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত। এক শ্রেণির ঠিকাদার জাল কাগজপত্র দেখিয়ে চুরি করে সংযোগ দিচ্ছেন। পরে গ্রাহককে শান্তনা দিতে বিল বই দিয়ে ভূঁয়া বিল জমা দিচ্ছেন। এমন ঘটনা এখানে ধরা পড়েছে একাধিকবার।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে সদর ইউনিয়নের নিজসরাইল গ্রামের হাবিব মিয়ার সদ্য নির্মাণকৃত বহুতল ভবনে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার জন্য রাস্তার মাটি কাটতে শুরু করে শ্রমিকরা। নিজ সরাইল গ্রামের কার্পেন্টিং করা সড়ক থেকে হাবিবের বাড়ির দূরত্ব দেড় শতাধিক গজ হবে। আর উপজেলা চত্বর থেকে আধা কিলোমিটার। থানা তো আরো কাছে। স্থানীয় লোকজন দেখে এ কাজকে অবৈধ বলে বাঁধা দেন।

মুহুর্তের মধ্যে মাটি কাটা বন্ধ করে পালিয়ে যায় ঠিকাদার ও শ্রমিকরা। থানা থেকে ছুটে আসেন পুলিশ সদস্য। এলাকার লোকজন জড়ো হন। প্রাথমিক ভাবে কাজ বন্ধ থাকে। রাত ১টার দিকে অতি গোপনে প্রথমে সড়কের পাশের পানি নিষ্কাশনের ড্রেন ও পরে কার্পেন্টিং করা সড়কটি কেটে ফেলেন। লোকাল মিস্ত্রি দিয়ে বাখরাবাদ গ্যাস লাইনের পাইপ ছিদ্র করে সংযোগ স্থাপন করেন। কাজ চলাকালে চারিদিকে চলে বিশেষ পাহারা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই গ্রামের ২-৩ জন বাসিন্দা জানান, সংযোগটি দেওয়ার জন্য প্রভাবশালীদের মোটা অংকের অর্থ দিয়ে ম্যানেজ করা হয়। তবে সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মফিজ উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, এ কাজে পুলিশের কোন ধরণের সম্পৃক্ততা নেই। কেউ অভিযোগ করে থাকলে এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট।

সরাইল সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার বলেন, এই সড়কটি কাটার অনুমতির জন্য পরিষদে কেউ কোন আবেদন করেনি। এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।

বাখরাবাদ গ্যাস কোম্পানী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-মহা ব্যবস্থাপক মো. জাহিদুর রেজা বলেন, সম্পূর্ণ অবৈধ ও বেআইনি উপায়ে এ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে আবাসিক সংযোগ দেওয়া বা অন্য জায়গার সংযোগ স্থানান্তরের কোন বিধান নেই। এ জাতীয় অবৈধ কাজের দায়ে জেল জরিমানা দুটিই হতে পারে।

সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএসএম মোসা বলেন, এটা সম্পূর্ণ অনিয়ম ও বেআইনি কাজ। দ্রুতই ব্যবস্থা নিব।

Advertisement

Sorry, no post hare.

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com