Advertisement

পৌর শহরের মহশ্বেরীদীঘির (দীঘির পাড় পুকুর) অবৈধ দখল উচ্ছেদে পৌর র্কতৃপক্ষরে পরির্দশন

NewsBrahmanbaria

এই আর্টিকেল টি ৩৮৮।

স্টাফ রিপোর্টার:

ব্রাহ্মণবাড়য়িা পৌরসভার ৫নং ওর্য়াডরে মধ্যপাড়াস্থ মহশ্বেরীদীঘির (দীঘির পাড় পুকুর) পরির্দশন করেছেন পৌরসভার র্কৃতৃপক্ষ। বুধবার বিকেলে পুকুরটি পরির্দশন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী র্কমর্কতা মোঃ আব্দুল কুদ্দুস। পৌর র্কৃতৃপক্ষরে একটি দল দীঘির সীমানা নির্ধারণ করে সীমানা পিলার স্থাপন, ময়লা আর্বজনা পরিষ্কার, চারপাশে পায়ে হাঁটার রাস্তা, বসার ব্যাঞ্চ, বৃক্ষরোপণসহ পুকুরটি পাড়েবাসন্দিা ব্যবহাররে জন্য পরিবেশ করার লক্ষ্যে উপস্থিত হন।

মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর চৌধুরী বলেন, আমরা প্রথমে মৌখিকভাবে পৌরসভার মেয়র মহোদয়ের অনুমতিতে তিন শতাংশ জায়গায় মসজিদ নির্মাণ করি পরে আরো একশতাংশ জায়গায় দাবি করলে তখন পৌর মেয়র মহোদয় মৌখিক অনুমতি দেন আমরা মোট চার শতাংশ জমির উপর মসজিদ নির্মাণ করি। পৌরসভার সার্ভেয়ার মাহবুব হোসেন তাৎক্ষণিক জায়গা মাপামাপি করে মসজিদের দখলে মোট বারো শতাংশ জায়গা দখলের প্রমাণ পাওয়া যায় বলে নিশ্চিত করেন।

নদী ও প্রাণ-প্রকৃতি সুরক্ষা সামাজিক সংগঠন নোঙর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সভাপতি শামীম আহমেদ বলেন, একসময় এ শহরকে পুকুরের শহর বলা হতো। কালের বিবর্তনে পুকুরগুলো গিলে খাচ্ছে প্রভাবশালীরা। ব্যক্তি মালিকানাধীন পুকুরগুলোর পাশাপাশি সরকারি পুকুরগুলোও অস্তিত্ব হারাচ্ছে, পৌরসভার বারোটি ওয়ার্ডে মোট কয়টি পুকুর আছে তার হিসাব কোনো দপ্তরের কাছেই নেই।

নোঙর অন্তত পৌর এলাকার পুকুরগুলো চিহ্নিত করে একটি গেজেট প্রকাশ করার দাবি করছে। কতিপয় সরকারি কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় পুকুর ভরাটের বিষয়টি একদম পরিষ্কার। তাদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে দাবি করছে নোঙর। পাশাপাশি মহেশ্বরীদীঘি উদ্ধার ও রক্ষণাবক্ষণে এগিয়ে আসায় পৌর কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।

সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর শাহানা বেগম বলেন, এই পুকুরটা যেভাবে দখল হয়ে আছে তা যেন উদ্ধার করে পুকুরে পাড়ে রাস্তা তৈরি করার পাশাপাশি বসার ব্যবস্থা করে দেই। এই বিষয়টা নিয়ে আমি পৌরসভার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছি। তারা অচিরেই এই সমস্যা সমাধান করবে বলে জানিয়েছেন।

পাড়বাসী পুকুরটি ব্যবহারের জন্য পুকুরের চারপাড়ে চারটি সিঁড়ি ঘাট নির্মাণের দাবি করলে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আঃ কুদদূস বলেন, সরকারি সম্পত্তি উদ্ধার ও রক্ষার্থে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন এবং দীঘির সৌন্দর্য্যবর্ধ্বন ও ব্যবহার উপযোগী করতে যৌক্তিক দাবিগুলো বাস্তবায়নেও কাজ করবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী কাউছার আহমেদ, প্রকৌশলী সুমন দত্ত, নোঙর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সভাপতি শামীম আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক খালেদা মুন্নী, শিপন কর্মকার প্রমুখ।

Advertisement

Sorry, no post hare.

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com