Advertisement

থানায় জিডি করেও রক্ষা পায়নি সংখ্যালঘু সুমনের পরিবার

NewsBrahmanbaria

এই আর্টিকেল টি ৮৬৮।

এনবি প্রতিনিধিঃ

হুমকি-ধামকী ঘটনায় থানায় জিডি করেও রক্ষা হয়নি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার গোকর্ণঘাট গ্রামের সংখ্যালঘু কয়েকটি পরিবারের। প্রভাবশালীদের হামলার শিকার হন এলাকার নারায়ণ সূত্রধরের ছেলে সুমন সূত্রধর। হামলায় তার ঠোঁট ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, টাকা-পয়সার লেনদেনকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকদিন ধরে গোকর্ণঘাট গ্রামের মৃত আলী মিয়ার ছেলে মুছা মিয়া একই এলাকার নারায়ণ সূত্রধরের ছেলে সুমন সূত্রধরকে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছিলো।

নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তার কথা ভেবে গত ১০ মে সুমন সদর থানায় মুছা মিয়ার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ (জিডি) দায়ের করেন।জিডি করার ঘটনায় পুলিশ তদন্তে গেলে ক্ষিপ্ত হন প্রভাবশালী মুছা ও তার সহযোগীরা। সে তার সহযোগীদের নিয়ে জিডি করার অপরাধে নারায়ণ সূত্রধর বাড়ীতে গিয়ে টাকা চেয়ে চাপ দেয়। একই ধারাবাহিকতায় মুছা মিয়া ও তার সহযোগীরা গত ৬ জুলাই সুমন সূত্রধরের উপর হামলা চালায়। এতে বাবা নারায়ণ সূত্রধর বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তাকেও মারধোর করা হয়। তাদের অতর্কিত হামলায় সুমন সূত্রধরের ঠোঁট কেটে যায়। আহত অবস্থায় সুমনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে এনে চিকিৎসা দেয়া হয়।

এ ঘটনায় সুমন বাদি হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় মুছা মিয়াকে প্রধান আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় মোট ৬জনকে আসামী করা হয়। অপর আসামীরা হলেন,একই এলাকার মৃত আলী মিয়ার ছেলে মনছুর মিয়া (৩৫), মৃত লাল মিয়ার ছেলে কুদ্দুছ মিয়া (৫৫), মৃত বাচ্চু মিয়া ছেলে নাজির মিয়া (৪৫) মৃত কফিল মিয়ার ছেলে বাহাদুর মিয়া (৪২), মৃত মলাই মিয়ার ছেলে শাহআলম মিয়া (৫০)।

এ ঘটনায় পুলিশ গত ২৫ জুলাই মুছা মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। এরপর থেকেই অপর আসামীরা নারায়ণ সূত্রধরের পরিবারকে হুমকি দিয়ে আসছে মামলা তুলে নেওয়ার জন। নয়তো গোকর্ণঘাট এলাকা থেকে তার পরিবারকে বিতারিত করা হবে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সেলিম উদ্দিন জানান, আমরা আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।

 

Advertisement

Sorry, no post hare.

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com