Advertisement

সরাইলে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত-১০

NewsBrahmanbaria

এই আর্টিকেল টি ৯১২।

স্টাফ রিপোর্টার:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এক পর্যায়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষের কারনে উচ্ছেদ অভিযান পন্ড হয়ে যায়। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ১০জন আহত হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগ, সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় ও স্থানীয়রা জানান, সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই আঞ্চলিক সড়কের সরাইল হাসপাতাল মোড়ে সড়ক ও জনপথের জায়গায় গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনাগুলো ১৫/২০ দিন আগে লাল কালি দিয়ে চিহ্নিত করে কর্তৃপক্ষ। পরে অবৈধ স্থাপনাগুলো সরিয়ে নিতে মাইকিং করা হয়।

সোমবার সকালে সড়ক ও জনপথ বিভাগ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রেদওয়ান রহমান ভূঁইয়ার উপস্থিতিতে সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এএসএম মোসার নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালতের উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। বেলা ১১ টায় ভ্রাম্যমান আদালত উচালিয়াপাড়া মাদরাসার কাছ থেকে হাসপাতাল মোড় পর্যন্ত প্রায় অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে। দুপুর ১২টার দিকে ভ্রাম্যমান আদালত সরাইল ডিজিটাল হাসপাতালের সিঁড়ি উচ্ছেদ করতে গেলেই ঘটে বিপত্তি।

হাসপাতালের মালিক ইউনুছ মিয়া মামলার কাগজ দেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের হাতে। এ সময় কিছু অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না করার প্রতিবাদ করেন উচালিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মোঃ শামীম মিয়া। এ সময় তার উপর চড়াও হন ইউনুছ মিয়া ও তার লোকজন। এক পর্যায়ে তারা শামীমকে মারধর করেন। এ ঘটনায় শামীমের লোকজন উত্তেজিত হয়ে লাঠিসোটা নিয়ে পাল্টা হামলা চালায়। বিক্ষুদ্ধ লোকজন হাসপাতালটি ভাংচুর করেন।

এতে সরাইল-নাসিরনগর সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। গরুর বাজারে আসা লোকজন বিপাকে পড়েন। এ সময় বন্ধ হয়ে যায় উচ্ছেদ অভিযান। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। আধঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে শামীম মিয়া ও ইউনুছ মিয়া সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন। বাকীরা বিভিন্ন ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়।

এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রেদওয়ান রহমান ভূঁইয়া বলেন, সিঁড়িটির অবস্থান জানতে আমরা মাপঝোঁক করার সময় সংঘর্ষ বেঁধে যায়। তাই উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করা হয়। ঈদ-উল-আযহার পরে আবার উচ্ছেদ চলবে।

এ ব্যাপারে সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিষ্ট্রেট এএসএম মোসা বলেন, সিঁড়িটির অবস্থান জানতে কাগজ দেখার সময় হঠাৎ করে লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। আইন শৃঙ্খলার অবনতি হওয়ায় ও পাশেই গরুর হাট থাকায় উচ্ছেদ অভিযান আপাতত বন্ধ করে দিয়েছি। এ ব্যাপারে সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহাদাৎ হোসেন বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন পক্ষই মামলা করেন নি।

Advertisement

Sorry, no post hare.

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com