Advertisement

বাল্য বিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেতে দুই ইউএনওকে স্কুল ছাত্রীর চিঠি

NewsBrahmanbaria

এই আর্টিকেল টি ৯৫০।

স্টাফ রিপোর্টার:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাল্য বিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেতে জেলার সরাইল ও আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে চিঠি দিয়েছেন স্কুল ছাত্রী মোমিনা বেগম। মঙ্গলবার দুপুরে স্কুল ছাত্রী নিজে সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে এই চিঠি পৌঁছে দেয়। এর আগে গত সোমবার একই চিঠি আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছেও পৌঁছায় সে।

মোমিনা বেগম সরাইল উপজেলার বেড়তলা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী এবং আশুগঞ্জ উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের বইগর গ্রামের মরহুম নুরুল আমীনের মেয়ে।উপজেলা নির্বাহী অফিসারদ্বয়ের কাছে পাঠানো চিঠিতে মোমিনা বেগম উল্লেখ করে, সে বেড়তলা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী। তার রোল নম্বর দুই। গত চার বছর আগে তার পিতা নূরুল আমীন দুস্কৃতিকারীদের হাতে খুন হন। এর পর থেকে তার পরিবার চরম অসহায়ত্বের মধ্যে দিনাতিপাত করে আসছে।

আশুগঞ্জ উপজেলার বইগর গ্রামের শেখ সাদি ভূইয়ার ছেলে উছমান ভূইঁয়া প্রায়ই তাকে উত্যক্ত করে। এ ঘটনায় তার পরিবারের কাছে নালিশ দিলে বখাটে উছমান তাকে জোরপূর্বক বিয়ে করার ঘোষণা দেয়। কয়েকদিন আগে উছমানের পক্ষে পক্ষে গ্রামের ইউপি সদস্য নূরুল ইসলাম, সজিব ভূইঁয়া, আকবর ভূইঁয়াসহ কয়েকজন তার বাড়িতে গিয়ে তার মাকে চাপ সৃষ্টি করে উছমান ভূইঁয়ার সাথে তার বিয়ের কথা রফাদফা করেন।

এদিকে এই বিয়ের খবর পেয়ে মোমিনা বেগম সরাইল উপজেলার কাটানিশার গ্রামে তার ভগ্নিপতি জাবেদ মিয়ার বাড়ি আশ্রয় নেয়। গত ৩ আগস্ট উছমান ভূইঁয়া সেখানে গিয়ে তাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।চিঠিতে মোমিনা বেগম উল্লেখ করে, তা বিয়ের বয়স হয়নি। সে পড়ালেখা করতে চায়। এছাড়া তার এক বড় বোনের এখনো বিয়ে হয়নি। সে বোন আশুগঞ্জ উপজেলার তিন্নি আনোয়ার মহিলা কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। মোমিনা আক্তার বাল্য বিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

এ ব্যাপারে বেড়তলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রতন কুমার দেব বলেন, মোমিনা আক্তার মেধাবি ছাত্রী। মোমিনার দেয়া একটি চিঠি পড়ে আমরা জানতে পেরেছি তাকে বাল্য বিয়ের দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। কিন্তু সে এই বিয়েতে রাজি নয়। এ জন্য সে গত ৮ দিন ধরে স্কুলে আসছে না। এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নাজিমুল হায়দার বলেন, স্কুলছাত্রী মোমিনা বেগমের চিঠি আমি পেয়েছি। উছমানসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আমি ডেকে পাঠিয়েছি।

এ ব্যাপারে সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এস এম মোসা বলেন, মোমিনাকে এ বিষয়ে সকল প্রকার সহযোগিতা করা হবে। বিষয়টি নিয়ে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে তিনি কথা বলবেন।

Advertisement

Sorry, no post hare.

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com