Advertisement

খেলাফতে মজলিসের সভাপতিসহ গ্রেফতার আরও ১০জন

NewsBrahmanbaria

এই আর্টিকেল টি ৬৫৬।

স্টাফ রিপোর্টার:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের কর্মসূচী চলাকালে শহরজুড়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিকান্ডের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, সরাইল উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা মোঃ আবু তাহেরসহ আরও ১০জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত ২৪ ঘন্টায় জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

এনিয়ে তান্ডবের ঘটনায় জেলার বিভিন্ন থানায় দায়েরকৃত ৫৬টি মামলায় মোট ৪৩৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশের বিশেষ শাখা থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেফতারকৃত মাওলানা মোঃ আবু তাহের গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ ও হরতাল চলাকালে তান্ডবের ঘটনার অন্যতম হোতা। তিনি তান্ডবের ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, হেফাজতের কর্মসূচী চলাকালে কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে সরকার উৎখাতের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তিনি বিভিন্ন মাদরাসার ছাত্র- শিক্ষককে নিয়ে ব্যাপক তান্ডবলীলা চালান।

গত ২৭ মার্চ তিনি দেশীয় অস্ত্র, কোচ, টেটা, বল্লম, লাঠি, ইট পাটকেল নিয়ে সরাইল উপজেলার অরুয়াইল অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প ঘেরাও করে ক্যাম্পে অবস্থানরত পুলিশ সদস্যদের উপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ,পুলিশ সদস্যদের হত্যা করার লক্ষে অস্ত্র,গুলি ক্যাম্প লুটসহ সরকারী সম্পত্তি বিনষ্ট করার উদ্দেশ্যে ক্যাম্পের সামনের গেইট ভেঙ্গে ক্যাম্পের ভিতরে প্রবেশ করে পুলিশের কাছ থেকে অস্ত্র ও গুলি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মাওলানা মোঃ আবু তাহের ছাড়াও তান্ডবের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরও ৯ জন হেফাজত কর্মী-সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে। হেফাজতের তান্ডবের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন থানায় এ পর্যন্ড ৫৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে সদর মডেল থানায় ৪৯টি, আশুগঞ্জ থানায় ৪টি, সরাইল থানায় ২টি এবং আখাউড়া রেলওয়ে থানায় ১টি মামলা দায়ের করা হয়। এ সকল মামলায় ৪১৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ হাজার লোককে আসামি করা হয়। পুলিশ এ পর্যন্ত ৪৩৪ জনকে গ্রেফতার করে।

উলে¬খ্য, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে ২৬-২৮ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক তান্ডব চালায় মাদরাসার ছাত্র ও হেফাজত কর্মী ও সমর্থরা। এ সময় পুলিশ সুপারের কার্যালয়, প্রেস ক্লাব, সিভিল সার্জনের কার্যালয়, মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়, পৌরসভা কার্যালয়, জেলা পরিষদ কার্যালয় ও ডাকবাংলো, খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানা ভবন, আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন, আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তন ও শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরসহ ৩৮টি সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এ ঘটনায় নিহত হয় ১২ জন।

Advertisement

Sorry, no post hare.

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com