Advertisement

সরাইলে ধর্ষণ মামলার বাদীকে হুমকির অভিযোগ

NewsBrahmanbaria

এই আর্টিকেল টি ৮৬৯।

স্টাফ রিপোর্টার:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ধর্ষণ মামলা তুলে নিতে বাদী ও তাঁর পরিবারকে ধর্ষকের লোকজন ক্রমাগত চাপ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মামলা প্রত্যাহার না করলে একাধিক মামলা দিয়ে এলাকা ছাড়া করার হুমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। ইতিমধ্যে একটি গ্রুপ মিথ্যা মামলাটি নথিভুক্ত করতে থানায় দৌড়ঝাঁপ করছে।

পুলিশ ও গ্রামবাসী সূত্র জানায়, উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের পাকশিমুল গ্রামের (বড়পাড়া) হিরা মিয়ার ছেলে মোস্তাকিম মিয়া-(২৫) গত ২০ জুন রাতে একই গ্রামের পূর্বপাড়ার তালাকপ্রাপ্তা দরিদ্র এক নারীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এসময় মোস্তাকিম ওই নারীর আপত্তিকর ছবি মুঠোফোনে ধারণ করে। এর পর ওই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে এবং বিয়ের প্রলোভন দিয়ে তাঁকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। ওই নারী বর্তমানে ১১ সপ্তাহের অন্তঃসত্বা। বিষয়টি উভয় পরিবারের মধ্যে জানাজানি হলে মোস্তাকিমের সাথে ওই নারীর বিয়ের প্রস্তাব করেন গ্রামবাসী। এতে বেকে বসেন প্রভাবশালী মোস্তাকিমের পরিবার। তারা টাকা দিয়ে ওই বাচ্চাটি নষ্ট করার চেষ্টাও করেছে।

বাধ্য হয়ে ওই নারী বাদী হয়ে গত ২ সেপ্টেম্বর সরাইল থারায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। এতে আসামি করা হয় মোস্তাকিম মিয়া, তাঁর পিতা হিরা মিয়া (৫০) ও মাতা জুরিনা বেগমকে (৪৬)। পুলিশ ওই দিন রাতেই মোস্তাকিম মিয়াকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।

মোস্তাকিম মিয়া বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে। গত শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, মোস্তাকিমের পরিবারের লোকজন বেশ প্রভাবশালী। হিরা মিয়া গত বুধবার রাতে প্রভাবশালীদের মাধ্যমে তাঁর বসতবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে ওই নারীর পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে সরাইল থানায় এজহার একটি দাখিল করেন। সেই সাথে গ্রামে প্রচার করতে থাকেন ধর্ষণ মামলা প্রত্যাহার করা না হলে আরও মামলা দিয়ে সবাইকে এলাকা ছাড়া করে। গত শুক্রবার দুপুরে হিরা মিয়ার বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। বসত ঘরে ঝুলছে তালা। হিরা মিয়ার ব্যবহৃত মুঠোফোনটিও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। হিরা মিয়ার নিকটাত্মীয় ও তাঁর প্রতিবেশীরা জানান, ধর্ষিতার মামলা দায়েরের পর থেকে হিরা মিয়া ও তাঁর লোকজন খুবএকটা বাড়িতে থাকেন না। তবে হিরা মিয়ার বাড়িতে ভাঙচুর বা লুটপাটের কোন ঘটনা ঘটেনি।

সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহাদত হোসেন বলেন,‘ ধর্ষণের ঘটনার সত্যতা রয়েছে। তবে হিরা মিয়ার দায়ের করা অভিযোগের ব্যাপারে শনিবার সরেজমিনে একজন কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছিলাম। এ ঘটনার কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। সরাইল থানায় কোন মিথ্যা মামলা নথিভুক্ত হয় না। তাই হিরা মিয়ার অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হবে না।

Advertisement

Sorry, no post hare.

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com